লিভ-ইন সম্পর্কের রেজিস্ট্রেশনের জন্য একটি ব্যবস্থা তৈরি করতে এবং বাধ্যতামূলকভাবে তা কার্যকর করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন। পিটিশনে শ্রদ্ধা ওয়াকার ও নিকি যাদবের খুন মামলার উল্লেখ করা হয়েছে।
আবেদনে বলা হয়েছে, গোপনীয়ভাবে চলতে থাকা এ ধরনের সম্পর্ক প্রতিনিয়ত জঘন্য অপরাধের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। লিভ-ইন পার্টনারদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশের কাছে তাদের সম্পর্কের তথ্য থাকা প্রয়োজন। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মমতা রানীর আবেদনে লিভ-ইন-এ বসবাসকারী মানুষের সংখ্যার তথ্য সংগ্রহেরও আবেদন জানানো হয়েছে।
আবেদনে বলা হয়েছে, আদালত যেন কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দেয়। আবেদনকারী যুক্তি দেন যে এই নম্বর সম্পর্কে তথ্য তখনই পাওয়া যাবে যখন লিভ-ইন সম্পর্কের রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করা হবে। আবেদনকারী শ্রদ্ধা এবং নিকি খুন মামলার মতো বেশ কয়েকটি মামলার উল্লেখ করেছেন।
পিটিশনে আরও বলা হয়েছে, একাধিক নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট লিভ-ইন রিলেশনে বসবাসকারী ব্যক্তিদের সুরক্ষা দিয়েছে যারা বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে। এই ধরনের সম্পর্ক মৌলিক অধিকারের পরিধির মধ্যে বিবেচিত হয়, কিন্তু এই ধরনের সম্পর্কের রেজিস্ট্রেশনের জন্য কোনও ব্যবস্থা নেই।
এর আগেও শ্রদ্ধা ও নিকি খুনের ঘটনা সামনে এসেছিল। শ্রদ্ধা খুন মামলায় আফতাব লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে খুন করে, তার দেহ কেটে টুকরো টুকরো করে জঙ্গলে ফেলে দেয়। একই সময়ে নিকি খুন মামলার অভিযুক্ত সাহিল তার সঙ্গী নিকিকে খুন করে দেহ ফ্রিজে রাখে। মৃতদেহ টুকরো টুকরো করার ইচ্ছাও ছিল সাহিলের। শ্রদ্ধা খুন মামলার অভিযুক্ত আফতাব এবং নিকি খুন মামলার অভিযুক্ত সাহিল দুজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুজনের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment