মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে শৌভিক ভট্টাচার্যের নামে লুক আউট নোটিশ জারি ইডির। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জারি করা এটিই তার প্রথম লুক আউট সার্কুলার বিজ্ঞপ্তি। মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে যাতে কোনওভাবেই দেশ থেকে পালাতে না পারে সেজন্য এই লুকআউট নোটিশ জারি করা হয়েছে। লুক আউট নোটিশের কপি শুধু বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকেই নয়, স্থল ও সমুদ্রবন্দর কর্তৃপক্ষকেও দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তির অনুলিপি সীমান্ত এলাকায়ও দেওয়া হয়েছে।
মানিক ভট্টাচার্য বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে প্রথমে উঠে আসে মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের নাম। তাকেও আদালতে তলব করা হয়। আদালতে হাজিরা দিলেও এই নোটিশ জারি করা হয়েছে।
তদন্তকারীরা বলছেন, মানিক ভট্টাচার্যের ছত্রছায়ায় যে দুর্নীতি হয়েছে তার সঙ্গে শৌভিক ভট্টাচার্যের সংস্থার যোগ রয়েছে। মামলায় মানিক ভট্টাচার্যকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, তার ছেলেও এই মামলায় জড়িতদের একজন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি জমা দেওয়া চার্জশিটে শৌভিকের নাম রয়েছে। এ ব্যাপারে তার খোঁজখবর নেওয়া খুবই জরুরি। এদিকে আগাম জামিনের আবেদনও করেছেন শৌভিক। ২২ ফেব্রুয়ারি এই বিষয়ে শুনানি হবে। মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে যাতে কোনও অবস্থাতেই দেশ ছাড়তে না পারে সেজন্য ইতিমধ্যেই লুকআউট নোটিশ জারি করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস, এবার আইনি লড়াইয়ে অনেক অসুবিধায় পড়তে হবে শৌভিক ভট্টাচার্যকে।
কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা দাবী করেছে যে রাজ্য জুড়ে ৫৯৬ টি বেসরকারী ডিএল এড কলেজ রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য রাজ্যের সমস্ত ডিএলইডি কলেজগুলিকে আর্থিকভাবে উপকৃত করেছেন৷ মানিক ভট্টাচার্যকে তদন্তকারীরা জিজ্ঞাসাবাদ করার আগে, এক সময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু তাপস মন্ডলও মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে খোলামেলা কথা বলেছিলেন। তদন্তে জানা যায়, মানিকের ছেলের একটি কনসালটেন্সি ফার্ম ছিল। সংগঠনটি অক্টোবর ২০১৮ থেকে এপ্রিল ২০১৯ পর্যন্ত অর্থাৎ ৭ মাসের মধ্যে বেসরকারী বিই কলেজগুলি থেকে ২ কোটি ৬৪ হাজার টাকা সংগ্রহ করেছে, কিন্তু অভিযোগ, কলেজগুলিতে কোনও পরিষেবা দেওয়া হয়নি। এমতাবস্থায় টাকার হিসাব নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন উঠছে। এই সমস্ত বিষয় যা তদন্তকারীরা জানতে চান।এদিকে, তার বিদেশে পলাতক হওয়ার সম্ভাবনার পরিপ্রেক্ষিতে ইডি লুকআউট নোটিশ জারি করেছে।
No comments:
Post a Comment