ভাত শুধু ভারতেই নয়, সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি খাওয়া খাবার। এটি বিভিন্ন উপায়ে রান্না করা যেতে পারে। সাধারণত জল ভর্তি পাত্রে রেখে চাল প্রস্তুত করি এবং যখন এটি সম্পূর্ণ সিদ্ধ হয়ে যায় তখন আমরা তার জল ফেলে দিই। উত্তর ভারতে অবশিষ্ট জলকে মাড় বলা হয়। কিন্তু আপনি কি জানেন এটা করে আপনি নিজেরই ক্ষতি করছেন।
ভাতের মাড় পানের উপকারিতা
১. ভাতের মাড় পুষ্টির কোন অভাব নেই, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।
২.ভাতের মাড় পান করলে শরীর তাৎক্ষণিক শক্তি পায়, যার ফলে শরীরের ক্লান্তি অনেকাংশে দূর হয়ে যায়।
৩. আমাদের ত্বকও ভাতের মাড় দ্বারা উপকৃত হয়, এতে অতি বেগুনি রশ্মির প্রভাব এবং সংক্রমণ কমানোর ক্ষমতা রয়েছে। সেজন্য রান্না করা ভাতের জল মুখে লাগান।
৪. আজকাল অনেকেই সাদা চুল বা চুল পড়ার সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, এটি মাথার ত্বকে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন এবং তারপর হালকা শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার দিয়ে চুল পরিষ্কার করুন।
৫. রান্না করা ভাতের মাড়-এ অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়, যার কারণে মুখের কালো দাগ এবং হোয়াইটহেডস দূর হতে শুরু করে।
৬. অনেক গবেষণায় এটা প্রমাণিত হয়েছে যে ধানের তুষ খেলে ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগের ঝুঁকিও কমায়।
৭. ভাতের মাড় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়, যা বিপাক বাড়াতে সাহায্য করে, যার কারণে হজমশক্তিও উন্নত হতে পারে।
৮. যারা নিয়মিত ভাতের মাড় পান করেন, তাদের শরীরের তাপমাত্রা ভারসাম্য বজায় থাকে।
৯. আপনি যদি হাইপোটেনশন বা নিম্ন রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন, তাহলে এতে লবণ মিশিয়ে পান করুন।
১০. ভাইরাল জ্বরে ভাতের মাড় কোনো ওষুধের থেকে কম নয়, এতে সামান্য লবণ মিশিয়ে পান করলে জ্বর দ্রুত চলে যায়।
১১. ভাতের মাড় পান করলে রক্ত সঞ্চালন সঠিকভাবে হয়, যার ফলে শরীরের অনেক সমস্যা দূর হয়।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে লেখা- নতুন যে কোনও কিছু ট্রাই করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment