ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন ২০২৩-এর ফলাফলের আগে এক্সিট পোলের ফলাফল সামনে এসেছে। এই ফলাফলে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বড় ধাক্কা খেতে পারেন। ইন্ডিয়া টুডে-অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়ার এক্সিট পোল অনুসারে, রাজ্যে এবারও শাসক বিজেপির চেয়ার অক্ষত থাকতে চলেছে।
৬০ সদস্যের সংসদে গেরুয়া শিবির ৩৬ থেকে ৪৫ আসন পেতে পারে। বাম-কংগ্রেস জোটের আনুমানিক সংখ্যা ৬-১১, তিপ্রা মোথা দল ৯-১৬টি আসন পেতে পারে। অর্থাৎ মমতা ম্যাজিকের প্রভাব ত্রিপুরায় যে একেবারেই পড়েনি, একথা বলাই যায়।
ত্রিপুরায়, মোট ৬০টির মধ্যে ২৮টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল তৃণমূল এবং এক্সিট পোলের ফলাফল অনুসারে, এটি একটি আসনও জেতেনগ। ২০১১ সালে, তিনি তার রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে ৩৫ বছরের বাম শাসন উপড়ে ফেলেন, কিন্তু ত্রিপুরায়, মমতার পথ আটকে দাঁড়িয়েছে পদ্ম শিবির।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল তাদের সম্প্রসারণ পরিকল্পনার পরিপ্রেক্ষিতে ত্রিপুরাকে একটি সম্ভাব্য রাজ্য হিসেবে দেখার অনেক কারণ রয়েছে। বাংলা ও ত্রিপুরার অধিকাংশ মানুষ বাংলায় কথা বলে। দুই রাজ্যই দেশভাগ এবং বাংলাদেশ সৃষ্টির পর থেকে বাঙালি হিন্দু উদ্বাস্তুদের বসবাসের ঐতিহ্যকে ভাগ করে নেয়। ত্রিপুরার প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ আদিবাসী এবং বাকিরা বাঙালি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চ্যালেঞ্জ করার স্বপ্ন দেখেন, কিন্তু তিনি এটাও জানেন যে তার দলের নাগাল কমবেশি পশ্চিমবঙ্গেই সীমাবদ্ধ। অতীতে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েও গোয়া নির্বাচনে ভালো করতে পারেনি তৃণমূল, এটাই এর একটা বড় উদাহরণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
No comments:
Post a Comment