অগ্নিবীর পরীক্ষার ফেল করায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী যুবক। পুলিশ তার কাছ থেকে একটি সুইসাইড নোট পেয়েছে, যাতে সে লিখেছে, "ভাই, আমি সৈনিক হতে পারিনি, তবে তোকে অবশ্যই একজন হয়ে বাবা মায়ের যত্ন নিতে হবে।" খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ঘটনাটি নয়ডার সেক্টর-৪৯-এর বারাউলির।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ১৯ বছর বয়সী দীপু আলিগড়ের বাসিন্দা। তার কাছ থেকে তিন পৃষ্ঠার একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে, যাতে লেখা, “আমি চার বছর ধরে পরিশ্রম করেছি, কিন্তু কিছুই পাইনি। মা-বাবার নাম উজ্জ্বল করতে পারিনি। এই জন্মে না হলে পরের জন্মে অবশ্যই সৈনিক হব।" সুইসাইড নোটে নিহত তার ভাইকে লিখেছেন, ‘আমার স্বপ্ন ভেঙ্গে গেছে, এখন কী করব? আমি সৈনিক হতে পারিনি, তবে তোকে অবশ্যই একজন হয়ে উঠতে হবে এবং বাবা মার যত্ন নিতে হবে।'
বলা হচ্ছে, সম্প্রতি সেনাবাহিনীতে নিয়োগের পরীক্ষা দিয়েছিলেন দীপু। গত ৩০ জানুয়ারি পরীক্ষার ফল আসে, তাতে সে ফেল করে। এর পর থেকেই তিনি টেনশনে ছিলেন। নয়ডা জোনের অতিরিক্ত ডিসিপি আশুতোষ দ্বিবেদী জানিয়েছেন যে আলিগড়ের বাসিন্দা ১৯ বছর বয়সী দীপু ছোট ভাই আমান এবং দিদির ছেলে আংশুর সাথে বড়ৌলায় থাকতেন। নয়ডায় থেকে দীপু ও তার ভাই সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
অতিরিক্ত ডিসিপি আশুতোষ দ্বিবেদী জানিয়েছেন, সম্প্রতি তিনি সেনা নিয়োগ পরীক্ষা দিয়েছিলেন। গত ৩০ জানুয়ারি পরীক্ষার ফল আসে, তাতে সে ফেল করে। এরপর থেকেই মানসিক চাপে ছিলেন তিনি। দীপুর ভাই আমান আর আংশু ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। এসময় তিনি ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পুলিশ তার কাছ থেকে একটি সুইসাইড নোট পেয়েছে। নিহত দীপুর দেহ উদ্ধার করে পঞ্চায়েতনামা পূরণ করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে দেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
No comments:
Post a Comment