২০২৩ সালে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন, তারপর ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলার বিজেপি। শুক্রবার নিউটাউনে বঙ্গ বিজেপির নতুন অফিসের উদ্বোধন হল। বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের উপস্থিতিতে নতুন অফিসে গৃহপ্রবেশ পূজার আয়োজন করা হয়। ২০২১ সালের নির্বাচনের সময়, বেঙ্গল বিজেপি হেস্টিংসে একটি নতুন অফিস খুলেছিল। সেখান থেকে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। সেই দফতর থেকেই নির্বাচন সংক্রান্ত বৈঠক, নানা কৌশল ঠিক করা হলেও এবার সেই কার্যালয় একেবারেই পরিত্যাগ করেছে বিজেপি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনের পাশের রাস্তায় নতুন অফিস নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার এই অফিসের উদ্বোধন হয়।বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাহুল সিনহা সহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পুরো চারতলা বিল্ডিংটি বিজেপির অফিস।
অফিসে মিটিং রুম, বিভিন্ন মোর্চা ঘরের পাশাপাশি রাজ্য সভাপতি সহ রাজ্য নেতাদের জন্য আলাদা কক্ষ রয়েছে। এখন থেকে এখানে আইটি সেল কাজ করবে। এ বছর ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর বছরের শেষ দিকে আবার লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই দুই নির্বাচনকে মাথায় রেখেই এই নতুন অফিস নিয়েছে বিজেপি। এই কার্যালয়কে ঘিরে থাকবে কড়া নিরাপত্তা। সবাইকে এই অফিসে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এখন থেকে এ কার্যালয়ে সর্বদলীয় সভা বা বড় সভা অনুষ্ঠিত হবে।
তবে বঙ্গীয় বিজেপির পুরনো কার্যালয় ৬, মুরলীধর সেন লেনে, বিজেপির আসল কার্যালয় আগের মতোই থাকবে। তবে এখন থেকে রাজ্য অফিসের একটি অংশ এখানে কাজ করবে। এ ছাড়া এই অফিসে রাজ্যের নেতাদের বসার জায়গা রয়েছে। এই অফিস কয়েক দশকের পুরনো। এই অফিসটি ১৯২৬ সালে ভাড়া করা হয়েছিল। বিজেপির প্রায় সব বড় নেতারা এই অফিসে এসেছেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এই অফিসে গিয়েছিলেন। মুরলী সেন লেনের গলিতে বৈঠক শেষে সবার সঙ্গে চা পান করেন তিনি। তাই এই অফিস বন্ধ করার কোনও পরিকল্পনা বিজেপির নেই। এই অফিসের একটা অংশ কলকাতা বিজেপিকে দেওয়া হবে। সেখানে তারা সংগঠনের কাজ করবেন। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও এই অফিসে এসে দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
No comments:
Post a Comment