সিভিক ভলান্টিয়ারদের শিক্ষকগিরিতে আপাতত স্থগিতাদেশ! শিক্ষাদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া স্থানীয় জেলা প্রশাসন কেন এমন সিদ্ধান্তের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে, সে বিষয়ে রিপোর্ট চেয়েছে শিক্ষা বিভাগ। বিভাগীয় সচিব রিপোর্ট চেয়েছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সুপারের কাছে। বৃহস্পতিবার একথা জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, বাঁকুড়ার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে অবশ্যই স্থানীয় স্তরে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু এ বিষয়ে শিক্ষা বিভাগ থেকে কোনও অনুমোদন নেই। তাই বিভাগীয় সচিব তাদের এ বিষয়ে অনুমোদনের জন্য আবেদন করতে বলেন। আবেদনটি শিক্ষা বিভাগে এলে, এটি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের একাডেমিক কাউন্সিলে পাঠাতে হবে। একাডেমিক কাউন্সিল অনুমোদন দিলেই বিষয়টি বিবেচনা করা যাবে। সে কারণেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের শিক্ষকগিরিতে স্থগিতাদেশ।
কিন্তু সিভিক ভলান্টিয়াররা কি এভাবে স্কুলে গিয়ে ক্লাস নিতে পারে? এ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দিন। মন্ত্রী বলেন, 'আমি এ বিষয়ে কথা বলতে পারব না। এটি একাডেমিক কাউন্সিলে যারা আছেন তারা বিবেচনা করবেন। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত স্থানীয় পর্যায়ে কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।'
উল্লেখ্য, বুধবার বাঁকুড়া পুলিশের তরফে 'অঙ্কুর' প্রকল্পের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, যার আওতায় প্রাথমিক স্কুলগুলিতে সিভিক ভলেন্টিয়াররা ক্লাস নেবেন। আর এই নিয়েই শুরু জোর বিতর্ক।
জেলা পুলিশের এই উদ্যোগকে মোটেও ভালোভাবে নেননি স্থানীয় সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডঃ সুভাষ সরকার তিনি বলেন, 'শুনলাম সিভিক ভলেন্টিয়ার দিয়ে স্কুলে ইংরেজি, অঙ্ক শেখানো হবে। বিষয়টি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।'
পাশাপাশি, বিষয়টি নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বাঁকুড়া পুলিশের ঐ সার্কুলার পোস্ট করে তিনি ট্যুইট করেন। বিরোধী দলনেতা লেখেন, "এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় চার লক্ষ পরীক্ষার্থী কমে গিয়েছে। ৩০-এর কম পড়ুয়া-এরকম ৮,২০৭টি সরকারি স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এই অবস্থায় সিভিক ভলেন্টিয়ারদের দিয়ে প্রাথমিক স্তরের পড়ুয়াদের সাপ্লিমেন্টারি ক্লাসে পড়ানো হবে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারই সরকারি শিক্ষাব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে।"
No comments:
Post a Comment