ঘর তো দূরস্ত, সামান্য প্লাস্টিকের ত্রিপালটুকু চাইলেও মেলে না পঞ্চায়েত থেকে। এছাড়াও আবাসে ঘর পেতে দিতে হয় কাটমানি, এমনই অভিযোগ। আর দিদির দূতকে কাছে পেয়েই একের পর এক ক্ষোভ উগরে দিলেন গ্রাম-বাসিন্দারা। ঘটনা মুর্শিদাবাদের।
শনিবার মুর্শিদাবাদের বড়ঞা ব্লকের খরজুনা অঞ্চলে 'দিদির সুরক্ষা কবচ' কর্মসূচিতে দিদির দূত হয়ে বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি যান বড়ঞা বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা সহ ব্লক সভাপতি, যুব সভাপতি, পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি সহ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বরা।
এদিন খরজুনা অঞ্চলের হরিমাটি গ্রামে ঢুকতেই ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয়রা। একের পর এক অভিযোগের মুখে পড়তে হয় দিদির দূতকে; কারও অভিযোগ, আবাস তৈরির জন্য গ্রামের মেম্বারকে দেওয়া হয়েছে ১২,০০০ টাকা। যে টাকা এখনো ফেরত দেয়নি এবং আবাসের কিস্তির টাকাও ঢোকেনি। আবার কারও অভিযোগ, একের পর এক সরকারি দফতরে আবেদন করেও মেলেনি একটা সরকারি ঘর, এমনকি ত্রিপলটুকুও।
এছাড়াও স্বাস্থ্যসাথী থেকে শুরু করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার রাজ্য সরকারের একাধিক জনমুখী প্রকল্পের 'প' পর্যন্ত পৌঁছায়নি বাসিন্দাদের কাছে।
এদিন বাসিন্দাদের সমস্ত অভিযোগ শুনে লিপিবদ্ধ করা হয়। দলীয়ভাবে সব অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা।
তিনি বলেন, 'ছোটখাটো অভাব-অভিযোগ আছে, আমরা সমস্ত কিছু শুনেছি। যত দ্রুত সম্ভব সমস্যার সমাধান করা হবে।' এর পাশাপাশি এদিন বিকেলের মধ্যেই ত্রিপাল পৌঁছে যাবে বলেও আশ্বাস দেন বিধায়ক।
No comments:
Post a Comment