ডিএ বনাম লক্ষ্মীর ভাণ্ডার তরজা; ফিরহাদের পাল্টা যুক্তি দিলীপের, ধর্মঘট নিয়ে খোঁচা মমতাকে - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday 11 March 2023

ডিএ বনাম লক্ষ্মীর ভাণ্ডার তরজা; ফিরহাদের পাল্টা যুক্তি দিলীপের, ধর্মঘট নিয়ে খোঁচা মমতাকে


ডিএ-রদাবীতে ধর্মঘট নিয়ে উত্তাল রাজ্য। সরকারি কড়া নির্দেশিকার পরেও বনধের প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছিল এদিন। তবে, রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এদিনই স্পষ্ট করে দেন, আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মত জনমুখী প্রকল্প, পরে ডিএ। এই নিয়েই শনিবার সরব হলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, 'উল্টোটা কেন নয়?'


এদিন সকালে নিউটাউনে প্রাতঃভ্রমণে আসেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে একাধিক বিষয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া দেন বিজেপি সাংসদ। তাঁকে এদিন জিজ্ঞেস করা হয়, কাল প্রশাসনিক ধর্মঘট কেমন হল? উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, "ওনারা বলছেন প্রচুর হাজিরা। সই আছে কি? কাল পাঁচ বার অ্যাটেনডেন্স নেওয়া হয়েছে। অন্য দিন হয়না কেন? হলে তো মানুষ সঠিক পরিষেবা পেতেন। আর এরাও পরিষেবা দিয়ে ডিএ দাবী করতেন। সরকারি অফিসে এই কালচার আনা হোক,সকাল বিকেল সই হোক।"


তাঁর কথায়, 'সরকারের আর উপায় নেই। চারিদিক দিয়ে সঙ্কটে পরেছে।' তিনি বলেন, 'সার্ভিস ব্রেক করলে তারা কেস করবেন। কিন্তু এই সরকারের আর কোমরের দম নেই যে, এমন কিছু করবে।' দিলীপের কথায়, 'কারও অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে, হুমকি দিয়ে জোর করে কাউকে কাজ করানো যায় না।'


বনধ নিয়ে রাজ্যের শাসক দল ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দেন তিনি। বলেন, 'বনধের সংস্কৃতি যারা বাংলায় পপুলার করেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৭৫ বা ৭৬ বার বনধ ডেকেছিলেন। আজ যারা বনধ ডেকেছেন, তিনিই তাদের ধমকাচ্ছেন। এই নৈতিক অধিকার ওনার নেই। আমরা বনধ করলে ঠিক, তোমরা করলে ঠিক নয়, শাস্তি পাবে, এটা বলার অধিকার ওনার নেই।'


তবে, বিজেপি নেতা এও বলেন, 'আমি মানবিকতার খাতিরে আবেদন করব কর্মচারীদের, নিশ্চয়ই আপনারা নিজেদের অধিকারের জন্য দাবী করুন, সবাই করছে। কিন্তু কাজ বজায় রেখে করুন।'


রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, লক্ষী ভাণ্ডারের মতো সামাজিক প্রকল্পগুলোর পরে সরকারের টাকা বাঁচলে ডিএ‌ দেওয়া হবে। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের পাল্টা প্রশ্ন, 'উল্টোটা কেন করছেন না?' তিনি বলেন, 'আমরা ছেলেমেয়ের পড়াশোনা, টিউশন, তার দুধের ব্যবস্থা আগে করি। তারপর বাড়ির অন্যটা মেটাই। এই কর্মচারীরা তো বাড়ির ছেলের মতো। তাদের সংসার চালাচ্ছেন, তাদের অধিকারটা আগে বুঝিয়ে দিয়ে বাকি দান-খয়রাত করুন না আপনি এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, দুয়ারে সরকার।'


দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, 'দুয়ারে সরকার দরকার হতো না, যদি সরকারটা চলত। সরকারি দফতরে কাজ হয় না বলে আপনাদের দুয়ারে সরকার করতে হচ্ছে। নিজের ব্যর্থতা আপনারা জাহির করছেন। সেজন্য আপনি অফিসগুলোতে কাজ করান, কাজের পরিবেশ ফিরিয়ে আনুন এবং তাদের অধিকার দিন। তারা কাজ করবে, আপনাকে দুয়ারে দুয়ারে ঘুরতে হবে না।'

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad