মালদা: বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই পরিযায়ী শ্রমিকের বসতবাড়ি সহ নগদ তিন লক্ষ টাকা।সর্বস্ব খুইয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গাংনদীয়া মসজিদ পাড়ার বাসিন্দা তথা পরিযায়ী শ্রমিক আব্দুল রোফের বাড়িতে। আগুনে হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও বাড়িতে থাকা আসবাবপত্র, কাপড়, খাদ্যশস্য, বিভিন্ন সরকারি কাগজপত্র ও নগদ তিন লক্ষ টাকা পুড়ে ছাই হয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ আব্দুল রোফের স্ত্রী মার্জিনা বিবি বাড়ির দরজা বন্ধ করে ছাগলের জন্য মাঠে ঘাস কাটতে যায়। আচমকাই বাড়িতে আগুন লেগে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। আগুনের লেলিহান শিখা এতোটাই তীব্র ছিল যে প্রতিবেশীরা ছুটে এসেও আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগাতে সাহস পায়নি। ফোন করা হয় তুলসীহাটা দমকল অফিসে। সঙ্গে সঙ্গে দমকলের একটি ইঞ্জিন ছুটে এসে ঘন্টা দু'য়েকের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও বাড়িতে থাকা আসবাবপত্র, কাপড়চোপড়,খাদ্য শস্য ও নগদ তিন লক্ষ টাকা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সর্বস্ব খুইয়ে খোলা আকাশের নিচে পলিথিন টাঙিয়ে আশ্রয় নিয়েছে পরিবারটি।
ক্ষতিগ্রস্ত মার্জিনা বিবি জানান, তার স্বামী ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করে কোনও রকমে সংসার চালান। তাদের বাস্তু ভিটা ছাড়া জমি নেই। পরিবারে নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা।তার স্বামী ভিন রাজ্যে কঠোর পরিশ্রম করে দীর্ঘ বছর ধরে পাকা বাড়ি করার জন্য তিলে তিলে তিন লক্ষ টাকা বাড়িতে জমিয়েছিলেন। এই অগ্নিকাণ্ডে সেই তিন লক্ষ টাকাও পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুন কীভাবে লেগেছে তিনি কিছুই বলতে পারছেন না।
তুলসীহাটা দমকল আধিকারিক নিবাস মাহালি জানান, ফোন করা মাত্রই ঘটনাস্থলে দমকলের একটি ইঞ্জিন পৌঁছে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় দুই ঘন্টা সময় লেগে যায়। এই ভয়াবহ আগুনে দুইটি শোওয়ার ঘর ও একটি রান্নাঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুনের সঠিক উৎস জানা না গেলেও প্রাথমিক অনুমান, রান্না ঘর থেকেই এই আগুন ছড়িয়েছে। বাড়ির ভিতরে পাটকাঠি ও জ্বালানি মজুত থাকার কারণেই এই আগুন ভয়াবহ আকার নেয়।
No comments:
Post a Comment