দুর্নীতির আখড়া হয়ে উঠেছে বিশ্বভারতীর সমবায় ব্যাঙ্ক, দীর্ঘদিন ধরে হচ্ছে না নির্বাচন, গ্রাহকেরা সঠিক পরিষেবা পাচ্ছে না, লগ্নিকারীরা লভ্যাংশ পাচ্ছে না, মিলছে না ঋণ ইত্যাদি একাধিক অভিযোগে বিশ্বভারতীর কো-অপারেটিভ ক্রেডিট স্যোসাইটি লিমিটেডে বিক্ষোভ দেখান গ্রাহক ও লগ্নিকারীরা। বিক্ষোভে জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় পরিসর।
১৯২৭ সালে অর্থাৎ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময় বিশ্বভারতীতে স্থাপিত হয় এই সমবায় ব্যাঙ্ক। এখানে বেশিরভাগই বিশ্বভারতী কর্মী, আধিকারিক, অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের অ্যাকাউন্ট রয়েছে; কেউ কেউ লগ্নি করেছেন, কেউ বা ঋণ নিয়ে থাকেন। অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যাঙ্কে কোনও ডিরেক্টর না থাকায় বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়েছে।
বিশ্বভারতীর সমবায় ব্যাঙ্কে হচ্ছে না নির্বাচন, সঠিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন গ্ৰাহকরা, যারা লগ্নি করেছেন তারা প্রাপ্য লভ্যাংশ পাচ্ছেন না, আবেদন করেও মিলছে না ঋণ৷ বিশ্বভারতীর এই সমবায় ব্যাঙ্ক বর্তমানে দুর্নীতির আখড়া হয়ে উঠেছে, এই অভিযোগ তুলে ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান গ্রাহক ও লগ্নিকারীরা। বিক্ষোভের জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে বিশ্বভারতী। পরবর্তীতে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে লিখিত আকারে একটি ডেপুটেশন দেওয়া হয়৷ ৭ দিনের মধ্যে সমস্যাগুলি সমাধানের দাবী জানানো হয়।
লগ্নিকারীদের মধ্যে সুব্রত মণ্ডল ও ভ্রমর ভাণ্ডারী বলেন, 'দুই বছর ধরে লভ্যাংশ পাচ্ছি না। আমাদের দাবী, নির্বাচন করতে হবে, লভ্যাংশ ও পরিষেবা সঠিক ভাবে দিতে হবে৷ এখানে একটা দুর্নীতির প্রমাণ পাচ্ছি। কাউকে অযথা দেরি করানো হয় আবার কাউকে এক রাতের মধ্যে ঋণ দেওয়া হয়৷ এর পিছনে কোনও অদৃশ্য শক্তি আছে৷ আমরা সব কিছু ঠিক করার জন্য ৭ দিন সময় দিয়েছি৷'
বিশ্বভারতী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট স্যোসাইটি লিমিটেডের ম্যানেজার নিলয় দাস বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে বোর্ডের ডিরেক্টর না থাকায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে৷ দুর্নীতির অভিযোগ ঠিক নয়৷ আমরা পরিবারের মত ব্যাঙ্কটি চালাই।'
No comments:
Post a Comment