পরীক্ষা দিতে যাওয়া সহপাঠীকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় মাদ্রাসা বোর্ডের এক মাধ্যমিক ছাত্রী ও তার পরিবারের ওপর হামলার অভিযোগ। আতঙ্কে পুরো পরিবার। ঘটনাটি ঘটছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার উস্থি থানার। এই খবর পেয়ে ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিতুন দে আক্রান্তের বাড়িতে যান। তিনি ছাত্রীটির নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেন। ঘটনার সূত্রপাত শনিবার। দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তি থানার দেউলা নাজরা এলাকার বাসিন্দা ওই ছাত্রী পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন। সেই সময় এ ঘটনা ঘটে।
হাই মাদ্রাসার ছাত্রীদের পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল ডায়মন্ড হারবার থানার অন্তর্গত মশাটের নবসংগ্রামপুরের একটি স্কুলে। অভিযোগ পরীক্ষা শেষে ফেরার সময় তার এক বান্ধবীকে আপত্তিকর কথা বলেন আরিয়ান মোল্লা নামে এক যুবক। ইভটিজিংয়ের বিরোধিতা করেন ছাত্রী।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ডিউটিতে থাকা পুলিশ সদস্যদের বিষয়টি জানানো হলে হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় ওই যুবককে। এদিকে পুলিশে খবর দেওয়ার প্রতিশোধ নিতে পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীদের নিয়ে রাতে ওই ছাত্রীর বাড়িতে চড়াও হয় আরিয়ান। একদল অপরিচিত লোক তার পরিবারকে হুমকি দেয় ও মারধর করে বলে অভিযোগ। রবিবার সকালে এই ঘটনার খবর ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিতুন কুমার দে-র কানে পৌঁছায়। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের নিয়ে আক্রান্তের বাড়িতে পৌঁছে যান তিনি। মনোবল বাড়াতে নার্ভাস ছাত্রীর হাতে ফুল, ডায়েরি, কলম এবং চকলেট তুলে দেন তিনি। এসডিপিও নিজেই ছাত্রী এবং তাঁর বাবা-মায়ের নিরাপত্তার প্রস্তাব দেন।
সোমবার থেকে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়া ছাত্রীর নিরাপত্তার জন্য এসডিপিও দুজন সিভিক ভলান্টিয়ারও নিয়োগ করেছেন। এসডিপিও বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত আরিয়ানের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আরিয়ানের পরিবারের কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ছাত্রীর নিরাপত্তায় যেন কোনও বিঘ্ন না ঘটে, এজন্য কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে, যাতে সে ভালোভাবে পরীক্ষা দিতে পারে।
পুলিশের ভূমিকায় খুশি ছাত্রী ও তার পরিবারও। এসডিপিওকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ছাত্রীর পরিবার। স্বজনরা জানান, পুলিশের আচরণ ও কাজে তারা খুশি।
No comments:
Post a Comment