বকেয়া ডিএ-র দাবীতে রাজ্য জুড়ে সরকারি কর্মীদের ধর্মঘট। জরুরী পরিষেবা ছাড়া স্কুল কলেজ হাসপাতাল সরকারি দফতর ইত্যাদি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৫৫টি সরকারি কর্মচারী সংগঠনের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। জেলায় জেলায় সকাল থেকেই এর প্রভাব পড়তে শুরু হয়েছে। এদিকে কড়া অবস্থান নিয়েছে রাজ্য সরকারও। এদিন উপস্থিত না হলে সার্ভিস রুল ব্রেকের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এসবের মাঝে এবার আন্দোলনকারীদের অনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
রাজ্যপালের কথায়, 'আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব।' ধর্মতলায় আন্দোলনরত সরকারি কর্মীদের উদ্দেশ্যে রাজ্যপালের বিশেষ বার্তা, 'সপ্তাহের পর সপ্তাহ ধরে অনশন করছেন কিছু মানুষ, শুনে আমি খুবই ব্যথিত। ডিএ নিয়ে যে অনশন চলছে, তাতে অসুস্থ হয়ে পড়বেন একের পর এক সরকারি কর্মী, মানুষের পরিষেবা ব্যাহত হবে। সকলে মিলে বসে দ্রুত এর সমাধান বেরোবে আশা রাখি।'
উল্লেখ্য, সরকারের কড়া নির্দেশিকা থাকলেও শুক্রবার সকাল থেকেই ধর্মঘটের প্রভাব পড়েছে কলকাতা সহ জেলায় জেলায়। একাধিক সরকারের অফিসে কর্মীদের একাংশ কাজ বন্ধ রেখে পোস্টার ব্যানার হাতে সামিল হয়েছেন বিক্ষোভে। এছাড়াও সরকারি বাস ডিপো, ফেরিঘাটেও ধর্মঘটের প্রভাব পড়েছে।
No comments:
Post a Comment