বৃহস্পতিবার হাওড়ার রাম নবমীতে সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী শুক্রবার হাওড়া পুলিশ কমিশনারের অফিসে পৌঁছান এবং অভিযোগ করেছেন যে এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে। তিনি হাওড়া পুলিশ কমিশনার সদর দফতরে দাঙ্গার সিডি তুলে দেন এবং দোষীদের গ্রেফতারের দাবী জানান। গোটা ঘটনার সিবিআই ও এনআইএ তদন্তের দাবী জানিয়ে তিনি বলেন যে তিনি ইতিমধ্যেই এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবী জানিয়ে আসছেন, যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকত তাহলে এই ঘটনা ঘটত না। হিন্দুরা প্রাণ বাঁচাতে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
শুভেন্দু অধিকারী একটি সিডি নিয়ে হাওড়া পুলিশ কমিশনারের অফিসে পৌঁছান এবং তিনি বলেন যে এই সিডিতে সেই সমস্ত লোকের ছবি রয়েছে যারা এই ঘটনার জন্য দোষী ছিল।
শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন যে পশ্চিমবঙ্গ সহিংসতা পুলিশ তার কাজ করছে না। তারা নীরব দর্শক, তারা কিছুই করছে না। হিন্দুদের ঘরবাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। কাজীপাড়া এলাকার হিন্দুদের প্রাণ বাঁচাতে ছুটতে হয়েছে। হাওড়ার ঘটনার জন্য প্রশাসনের দুর্নীতিকে দায়ী করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। পুলিশের ব্যর্থতাকেও কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “সার্বিক দুর্নীতি ও প্রাতিষ্ঠানিক চুরি থেকে আমাদের চোখ সরাতে একটি সুপরিকল্পিত স্ক্রিপ্ট তৈরির ব্যর্থ প্রচেষ্টা।" তিনি আরও বলেছেন, "গতকালের ঘটনাটি অন্তত দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যের ফল এবং রাম নবমীর প্রেক্ষাপটে যেভাবে তৃণমূল নেতারা বিজেপিকে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছেন।" পুলিশের ভূমিকার কটাক্ষ করে তিনি বলেন, "পুলিশ পারে। এ ধরনের ঘটনায় কোনও ব্যবস্থা নেয় না, নিতে পারে না, নেওয়ার সাহসও নেই।"
রাম নবমীর মিছিল নিয়ে হাওড়ায় সংঘর্ষের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে পিআইএল দায়ের করেছেন বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এনআইএ-র কাছে তদন্তের দাবীও জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার ট্যুইটারে এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন। বৃহস্পতিবার রাম নবমী মিছিলকে কেন্দ্র করে হাওড়ার শিবপুর ও সাঁকরাইল এলাকায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। সেই ঘটনা নিয়ে শুক্রবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার ও পুলিশকে নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী।
No comments:
Post a Comment