'বিশ্বকে জানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, ভারতীয় বিচার বিভাগ এবং গণতন্ত্র সমস্যায় রয়েছে', শনিবার এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। পূর্ব রাজ্যগুলিতে কেন্দ্রের আইনজীবীদের একটি সম্মেলনের উদ্বোধন করে রিজিজু বলেন, বিচারকদের জ্ঞান জনসাধারণের যাচাইয়ের বাইরে। তিনি বলেন, "ভারতীয় বিচার বিভাগকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যায় না, বিশেষ করে বিচারকদের প্রজ্ঞাকে জনসাধারণের বিচারের আওতায় রাখা যায় না।" তাঁর সংযোজন, 'ভারতীয় বিচার বিভাগ যে সমস্যায় রয়েছে তা বিশ্বকে জানানোর জন্য দেশের অভ্যন্তরে এবং বাইরে থেকে বারবার ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। বিশ্বকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে ভারতীয় গণতন্ত্র সমস্যায় পড়েছে। এটা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য কিছু গোষ্ঠীর ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা।'
রিজিজু বলেন, 'ভারত এবং এর গণতান্ত্রিক কাঠামোকে বদনাম করতে ভ্রান্ত উদ্দেশ্য নিয়ে কোনও প্রচারই সফল হতে পারে না।' তিনি এও বলেন, "আমেরিকা নিজেকে প্রাচীনতম গণতন্ত্র বলে দাবী করতে পারে, কিন্তু ভারত আসলে 'গণতন্ত্রের জননী'।"
উল্লেখ্য, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সম্প্রতি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বক্তৃতায় অভিযোগ করেন, ভারতীয় গণতন্ত্র আক্রমণের মধ্যে রয়েছে এবং তাকে এবং অন্যান্য অনেক রাজনীতিবিদকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এরপরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রিজিজুর মন্তব্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ এবং রাহুলকে খোঁচা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
নাম না নিয়েই রাহুল গান্ধীকে নিশানা করে কিরেন রিজিজু বলেন, "টুকরে-টুকরে গ্যাং" এর সদস্যদের আরও ভালভাবে বোঝা উচিৎ যে, নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত একটি দুর্দান্ত নবায়নের যাত্রা শুরু করেছে। এই দলগুলি ভারত বিরোধী বিদেশী সংস্থাগুলির সমর্থন পায় যাতে তারা ভারতের বিরুদ্ধে সরাসরি আক্রমণ চালাতে পারে। তারা ভারতীয় গণতন্ত্র, ভারতীয় সরকার, বিচার বিভাগ এবং প্রতিরক্ষা, নির্বাচন কমিশন, তদন্তকারী সংস্থার মতো সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির বিশ্বাসযোগ্যতাকে আক্রমণ করবে।'
তিনি আরও বলেন, 'স্বাধীনতার নামে সবাই স্বাধীনভাবে কাজ করলে আইনশৃঙ্খলার কী হবে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে কোনও রাজনৈতিক দল প্রশ্ন তুলতে পারে না। বিচার বিভাগকে কখনই বিরোধী দলের ভূমিকা পালনে বাধ্য করা যাবে না।'
No comments:
Post a Comment