হাওড়ায় রাম নবমীতে সহিংসতা এবং তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্নাকে তীব্রভাবে আক্রমণ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ, দিলীপ ঘোষের।তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে "রাহুল গান্ধীর মতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সদস্যপদও চলে যেতে পারে। তাহলে সিদ্ধান্ত নিন কে হবেন ভবিষ্যৎ মুখ্যমন্ত্রী?" মেদিনীপুরে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন দিলীপ ঘোষ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে চোপড়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের দুই কর্মীকে খুনের ঘটনারও তীব্র নিন্দা করেন তিনি।
তিনি বলেন, “সরকার বাঁচাতে, নেতাদের বাঁচাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন। যেখানেই তিনি আদালতে যান। তারা হতাশ বোধ করে। জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার দায়ে মুম্বইয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা চলছে। রাহুল গান্ধীর মতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সদস্যপদও যেতে পারে। ভবিষ্যতে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা ঠিক করুন।"
হাওড়ার ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন যে "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি এই ধরণের সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা চান তবে সম্ভবত তিনি রাজনৈতিক সুবিধা পাবেন। মুসলিম সমাজ তাকে বিশ্বাস করে না এবং তারা তার কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, তাই এই উত্তেজনা তৈরি করার জন্য, সে তার সাথে মুসলমানদের নিয়ে আসতে চায় এবং তাদের বলতে চায় যে আমি আপনার সাথে আছি।" পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সহিংসতা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমি বলছিলাম টিকিট বণ্টন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে লড়াই হবে। দলের ওপর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই, কারণ দুর্বৃত্তরা দলের নেতা হয়ে উঠেছে। তারা চায় যে তাদের লোকেরা টিকিট পাবে, তারা ধীরে ধীরে দলকে নিয়ন্ত্রণ করছে, এবং তৃণমূলের কোনও নেতার তা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা নেই, এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও নয়।"
ধর্নার মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমি বিজেপিকে পাত্তা দিই না।" এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের দাবী, "বিজেপিকে পাত্তা দেওয়ার দরকার নেই।" তিনি বলেন, "সাধারণ মানুষের দিকে তাকান। সরকারি কর্মচারী থেকে শুরু করে আন্দোলনকারী, যারা আপনার সরকার চালাচ্ছেন তাদের থেকে সাবধান। বিজেপি সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে না। দিল্লীতে যাওয়ার সাহস নেই, কলকাতায় মানুষ হেনস্থার শিকার হচ্ছে। তার দলের নেতারা যেখানেই যান সেখানেই 'চোর চোর' শব্দ শুনতে পান। চারদিকে জয় শ্রী রাম হচ্ছে আর সেই কারণেই দিল্লী যেতে চান না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।"
No comments:
Post a Comment