আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে আমরা বিকেলে দুঃখী হয়ে উঠি। সারাদিনের তুলনায় দিনের বেলায় মুখটা একটু গম্ভীর হয়ে যায়। এটার কারণ কি? এটা জানা খুব আকর্ষণীয় ।মানুষ সারা দিনের বিভিন্ন সময়ে শক্তিতে পূর্ণ থাকে। কিন্তু বিকেল এমন একটি সময় যখন একজন ব্যক্তি ক্লান্ত এবং দুঃখ বোধ করেন। সুইনবার্গ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি, মেলবোর্ন হ্রাস পাওয়া শক্তির মাত্রা এবং মনের মধ্যে একটি সংযোগ খুঁজে পেয়েছে। আসুন জেনে নিই দিনের বিভিন্ন সময়ে মানুষের এনার্জি লেভেল এবং আমাদের দুঃখ নিয়ে গবেষণায় কী প্রকাশ পেয়েছে।
কেন দিনের বেলা মুখে বিষণ্ণতা দেখা যায়?
গবেষণা অনুসারে, যখন কেউ আমাদের প্রশংসা করে, তখন আমাদের স্নায়ুপথগুলি সক্রিয় হয়ে যায়। এটি সর্বদা প্রশংসার সন্ধানে থাকে। এটি মস্তিষ্ককে চাঙ্গা করে। এই প্রক্রিয়ায় সেরোটোনিন হরমোন তৈরি হয়। একে সুখী হরমোনও বলা হয়। হ্যাপি হরমোন নিজেই অনেক ধরণের রাসায়নিক এবং বৈদ্যুতিক সংকেত দেয় যা মস্তিষ্ককে দীর্ঘ সময়ের জন্য সক্রিয় রাখে।
দিনের ক্লান্তির কারণ
আসুন আমরা আপনাকে বলি যে বিজ্ঞানীরা এটিকে পুরস্কার সার্কিট বলে। প্রায়শই এই পুরষ্কার সার্কিট বিকেলে সপ্তাহে পরিণত হয় এবং ক্লান্তি শুরু হয়। মুখে বিষণ্ণতা। সকাল থেকে কাজে ব্যস্ত মানুষ ক্লান্ত বোধ করতে শুরু করে। অন্যদিকে, আপনি যদি খাবার খেয়ে থাকেন তবে শরীর শিথিল হওয়ার মেজাজে আসে।
ঘুম না হলে শরীরের ঘড়ির অবনতি হয় কীভাবে?
এছাড়াও, সার্কাডিয়ান ছন্দও বিকেলের বিষণ্ণতার কারণ। এটি এক ধরনের বডি ক্লক। যা আমাদের শরীরের উপর ২৪ ঘন্টা নজর রাখে। আপনি যদি বেশ কয়েক দিন ধরে রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না পান তবে সার্কাডিয়ান ছন্দে ব্যাঘাত ঘটে। বিকেলে এর প্রভাব বেশি হওয়ার কারণ হল বিকেলের আলো বাড়তে বাড়তে কমে যায়।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment