বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের তারিখ এখনও ঘোষণা করা হয়নি, তবে রাজ্যে শুরু সহিংসতা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের টিকিটের বিবাদে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলেই ফয়জুল রহমান ও হাসু মহম্মদ মারা যান। দুজনেই তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার কোচোপড়া গুলির ঘটনায় পুলিশ শুক্রবার সকালে একজনকে গ্রেফতার করেছে। অন্যদিকে এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন বিধায়ক হামিদুল রহমান। শুক্রবার সকালে দীঘবানা এলাকায় যান চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান। দিঘবনা এলাকায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এই সহিংসতার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় লোকজন। তিনি আন্দোলনকারীদের সড়ক অবরোধ অপসারণের নির্দেশ দেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন বিধায়ক। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট কে পাবে তা নিয়ে চোপড়ার দীঘবানা এলাকায় তুমুল হৈচৈ ও গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তৃণমূল কর্মী ফয়জুল রহমান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে চোপড়া ডালুয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখান থেকে ইসলামপুর বিভাগীয় হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই তিনি মারা যান বলে সূত্র জানায়। বৃহস্পতিবার দিঘবনায় তৃণমূল বুথ কমিটির বৈঠক চলছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাকে প্রার্থী করা যায় তা নিয়ে উত্তর দিনাজপুরের বুথে বৈঠক চলছিল। এ সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সূত্র জানায়, দিঘবনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে ফয়জুলের নাম উঠে আসে। তার নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। আরও কিছু নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। মিটিং থেকে বের হতেই পিস্তল দিয়ে গুলি করা হয়। গুলিতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। ফয়জুল গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “এই নির্বাচনে বিজেপি কর্মীদের চেয়ে তৃণমূল কর্মীদের ওপর বেশি হামলা হবে। সেই হামলা তৃণমূল কংগ্রেসের লোকেরাই করবে।" তবে উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি কানহাইয়ালাল আগরওয়াল দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কথা মানতে রাজি হননি। এদিকে এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment