মেয়ের বিয়ের জন্য ধীরে ধীরে বাড়িতে টাকা জমাচ্ছিলেন। কিছু সোনার গয়নাও ছিল। আলমারিতে সব রাখা ছিল। পরিবারের সদস্যরা চাননি মেয়ের বিয়েতে কোনও কমতি থাকুক। তারা সবকিছু করতে চেয়েছিল। কিন্তু ভগবান অন্য কিছু অনুমোদন করেছিলেন। আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল পুরো বাড়ি। এ ছাড়াও মেয়ের বিয়ের জন্য জমানো নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার সবই পুড়ে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা থানা এলাকায়। মহম্মদপুরের বাধপুল এলাকায় আগুনে একই পরিবারের চারটি ঘর পুড়ে গেছে।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। তাড়াহুড়ো করে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকলের একটি ইঞ্জিন। খবর পেয়ে ভগবানলা থানার পুলিশও ঘটনাস্থলে যায়। অনেক চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন দমকল কর্মীরা।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবেশীরাও আগুন নেভাতে সাহায্য করলেও ততক্ষণে সব শেষ হয়ে গেছে। আগুনে ঘর পুড়ে গেছে। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত তা এখনও স্পষ্ট নয়। স্বজনদের সন্দেহ, বাইরে থেকে কেউ আগুন লাগিয়ে থাকতে পারে। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, কারও সঙ্গে তার কোনও ঝগড়া ছিল না, তবে কেরোসিনের গন্ধ পান, তাই পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হয়। জানা গেছে, মেয়ের বিয়ের জন্য রাখা স্বর্ণ ও গহনা নেই। বাড়িতে ছাগলও ছিল, সেগুলোও পুড়ে গেছে। দুই বোনের বিয়ের জন্য সোনার চুড়ি, কানের দুল, গলার হার তৈরি করা হয়েছিল। সেগুলো আগুনে পুড়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। বাড়ির লোকজন ভাবতে পারছেন না কিভাবে মেয়ের বিয়ে দেবেন।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান মুর্শিদাবাদের লোকসভা সাংসদ আবু তাহের খানও। সাংসদ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে কথা বলে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।আবু তাহের খান জানান, তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে আছেন। পরিবারকে সব ধরনের সাহায্য করা হবে। ইচ্ছাকৃতভাবে আগুন লাগানো হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি। এদিকে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
No comments:
Post a Comment