স্ত্রীকে হয়রানি এবং তাকে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করার জন্য চাপ দিচ্ছিল যুবক। স্ত্রীর মাধ্যমে তাকে বাড়িতে ডেকে নৃশংস খুনের অভিযোগ। শুধু তাই নয়, খুনের পর যুবকের ধড় থেকে মাথা আলাদা করে আবর্জনার স্তুপে পুড়িয়ে এবং ধড় ১০ টুকরো করে খালে ফেলে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। অভিযুক্ত দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নৃশংস এই ঘটনাটি গুজরাটের আহমেদাবাদের। মৃত যুবকের নাম মেরাজ পাঠান।
জানা গিয়েছে, বাপুনগরের রওশন সৈয়দ দরগাহ চিনুলাল কি চালির বাসিন্দা মোহাম্মদ মেরাজ ওরফে মাইকেল সেলিম পাঠানকে বাপুনগরে বসবাসকারী বন্ধু মোহাম্মদ ইমরান ওরফে সুলতান আলীর বাড়িতে আসা-যাওয়া ছিল। অভিযোগ, মেরাজ তার বন্ধু ইমরানের স্ত্রী রিজওয়ানা ওরফে নেহাকে অনুসরণ করত এবং বন্ধুর অনুপস্থিতিতে অনেক সময় তার বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রীকে বন্ধুত্ব ও তার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য চাপ দিত। রিজওয়ানা বিষয়টি ইমরানকে জানালে তিনি মেরাজকে বাড়িতে ডেকে নিতে বলেন।
আরও অভিযোগ, ২২ জানুয়ারি ২০২৩, সকালে মেরাজকে সারপ্রাইজ গিফট দেওয়ার অজুহাতে বাড়িতে ডেকে নেন রিজওয়ানা। মেরাজ আসার পর রিজওয়ানা তার চোখে স্কার্ফ বেঁধে তার দুই হাত বিছানায় বেঁধে রাখে। এরপর লুকিয়ে বসে থাকা ইমরান মেরাজের পেটে তলোয়ার ঢুকিয়ে দেয়। এরপর তার মাথা আলাদা এবং ধড় ১০ টুকরো করে ব্যাগে ভরে খরিকাত খালে ফেলে দেয়। আর মাথাটা আবর্জনার মধ্যে ফেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
মেরাজের স্ত্রী নাসরিন বানু পরদিন তার স্বামী বাড়িতে না আসায় পুলিশকে খবর দেন। বিষয়টি সন্দেহজনক দেখে পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় শ্রীবাস্তব ২৪ জানুয়ারি ক্রাইম ব্রাঞ্চকে বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করার নির্দেশ দেন। মেরাজ ইমরানের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন, তাই ইমরান ও তার স্ত্রীকে সন্দেহ করেন তার পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ তাদের দুজনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা ভেঙে পড়েন এবং সবকিছু উগরে দেয়। প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ জন মিলে খাল থেকে মেরাজের দেহের টুকরোগুলো উদ্ধার করে। পরিবারের ডিএনএ নমুনা নেওয়া হয়েছে এবং তাদের সঙ্গে মৃতদেহের ডিএনএ মিলিয়ে দেখা হবে।
No comments:
Post a Comment