রাজ্য সরকারের প্যানেলের আইনজীবী সঞ্জয় বসুর মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ ইডি। চিটফান্ড মামলায় আইনজীবীর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। পরে তাকে ইডি অফিসেও তলব করা হয়। এরপর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সঞ্জয় বসু। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ তাকে রক্ষাকবচ দেয়। তদন্তকারী সংস্থা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ, কেন তাঁকে রক্ষাকবচ দেওয়া হল?
ইডি একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে যে কিছু পরিচালক এবং চিট ফান্ড সংস্থাগুলির সুবিধাভোগীদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। সেই তালিকায় ছিল সঞ্জয় বসুর নাম। সঞ্জয় বসু হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে প্রশ্ন তোলেন একজন আইনজীবী কীভাবে সুবিধাভোগী হতে পারেন?
গত বুধবার ওই মামলায় আইনজীবী পেলেন রক্ষাকবচ। শুধু তাই নয়, আইনজীবীর বাড়িতে কোনও তল্লাশি চালানো যাবে না বলেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এমনকি সঞ্জয় বসুর কাছে ইডির সমনও হাইকোর্ট স্থগিত করেছিল। বিচারপতি আইপি মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, “এই আইনে কীভাবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গোপন রাখা যায়? গান্ধীজির গ্রেফতারের সময় তিনি ব্রিটিশদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন যে তাঁর বিরুদ্ধে কী অভিযোগ রয়েছে। চার্জ কি, এখানেও জানা জরুরী।" এবার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল কেন্দ্রীয় সংস্থা। আগামী সপ্তাহে শুনানি হতে পারে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে আইনজীবী সঞ্জয় বসুর বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। তাকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সঞ্জয় বসু আদালতে বলেছিলেন যে তাকে হেনস্থা করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, সঞ্জয় বসুর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। উল্লেখ্য, জাল বিনিয়োগ সংস্থার মামলার তদন্তে কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা এর আগে সঞ্জয় বসুর আলিপুর বাড়িতে হানা দিয়েছিল। ১ মার্চ তারা দিল্লী থেকে এসে সঞ্জয় বসুর আলিপুর বাড়িতে তল্লাশি চালান। ইডি সূত্রে দাবী করা হয়েছে, প্রায় ২২ ঘণ্টার ম্যারাথন তল্লাশির পর সঞ্জয় বসুর বাড়ি থেকে বেশ কিছু নথি উদ্ধার করা হয়েছে। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডি অফিসে হাজির হতে বলা হয়।
No comments:
Post a Comment