নদী পার হওয়ার সময় নদীতে ভেসে গেল ১৭ তীর্থযাত্রী। তবে, এর মধ্যে ৮ জন সাঁতরে বেরিয়ে যান এবং ৭ জন জলে ডুবে মারা যান। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের মোরেনা জেলার। ঘটনার পর ডুবুরিরা জল থেকে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। একইসঙ্গে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৪ জন। ঘটনাটি তেঁতরা থানা এলাকার রাইডি-রাধেন ঘাটের। চম্বল নদীতে ডুবে যাওয়া সকল ভক্ত শিবপুরী জেলার বলা হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, শিবপুরী জেলার সিলাইচাউন গ্রামের বাসিন্দা কুশওয়াহা সম্প্রদায়ের ১৭ জন পায়ে হেঁটে করৌলি মায়ের মন্দিরে গিয়েছিলেন। ভক্তদের মধ্যে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও ছিলেন। আজ শনিবার সকালে ভক্তরা মোরেনা জেলার তেঁতারা থানা এলাকায় অবস্থিত রাইডি-রাধেণ ঘাটে চম্বল নদী পার হচ্ছিলেন, এমন সময় জলের প্রবল স্রোতে সব মানুষ প্রবাহিত হতে থাকে। এর মধ্যে সাঁতার কেটে নদীর উভয় ঘাটে পৌঁছায় ৮ জন, জলে ডুবে মারা যায় ৭ জন।
তাৎক্ষনিক স্থানীয় লোকজন বিষয়টি পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে ডুবুরিদের একটি দল ডেকে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন আধিকারিকরা। প্রায় ২ ঘণ্টার পরিশ্রমের পর জল থেকে এক নারীসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ডুবুরিরা।
নদীতে ডুবে নিহতদের মধ্যে নারী ও পুরুষ ভক্তরা রয়েছেন বলে জানা গেছে। একইসঙ্গে খবর পেয়ে পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
No comments:
Post a Comment