নকল করতে বাধা দেওয়ায় রক্তাক্ত প্রধান শিক্ষক। মহিলা শিক্ষিকাকে ধাক্কাধাক্কি। স্কুলে ভাংচুর। এমনই অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য মালদার মোথাবাড়ি থানার অন্তর্গত রথবাড়ি হাই স্কুলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, রথবাড়ি হাইস্কুলে উচ্চমাধ্যমিকের সিট পড়েছিল বাঙ্গিটোলা হাই স্কুলের। এদিন কয়েকজন পরীক্ষার্থী নকল করতে গেলে শিক্ষক-শিক্ষিকারারা বাধা দেন, সেইসময় তাদের ধাক্কাধাক্কি ও প্রধান শিক্ষককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় ঘটনাকে কেন্দ্র করে। খবর পেয়ে ছুটে আসে মোথাবাড়ি থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। ঘটনায় মোথাবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক সমন্বয় সরকার বলেন, 'এদিন কয়েকজন ছেলে নকল নিয়ে এসেছিল, এক ঘন্টা পরীক্ষা চলার পর তা ধরা পড়ে। পাশাপাশি একটি ছেলের কাছ থেকে মোবাইলও উদ্ধার হয়। ওই পরীক্ষার্থী কোনও ঝামেলা না করেই মোবাইল দিয়ে দিলেও নকল নিয়ে যে এসেছিল সে ওগুলো দিতে অস্বীকার করে। এমনকি চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করে। পরবর্তীতে নকলের কাগজগুলো দিয়ে দিলেও পরীক্ষা না দিয়েই শ্রেণিকক্ষ থেকে বেরিয়ে যেতে যায়। তাকে আমি বাঁধা দিতে গেলেই পেছন থেকে সব ছেলে উঠে হইচই শুরু করে এবং বলে পরীক্ষা দেবে না। পরীক্ষা ভন্ডুল করার চেষ্টা করে সকলে মিলে। সব কাগজপত্র চারিদিকে ছুঁড়ে ফেলে এবং চেয়ার নিয়ে আমাকে মারতে তেড়ে আসে।'
প্রধান শিক্ষক বলেন, 'আমার গায়েও হাত দিয়েছে, আমাকে মেরেছে এবং এতে ঠোঁটে আমি আঘাত পাই। এছাড়াও যে শিক্ষিকা ডিউটি করছিলেন, তিনি তাদের থামাতে গেলে ওনাকেও ধাক্কাধাক্কি করে।' বিশেষ করে ৪-৫ জন ছাত্র রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। পরবর্তীতে সব শিক্ষক, পুলিশ, বিডিও সকলে এসে পরিস্থিতি সামলা দেন।
এই ঘটনায় অন্যান্য কক্ষের পরীক্ষার্থীরাও আতঙ্কিত হয়, পরীক্ষা ব্যবস্থায় প্রভাব পড়েছে বলেই জানান প্রধান শিক্ষক এবং আগামী দিনে সুষ্ঠু ভাবে নিতে পারবেন কিনা বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
No comments:
Post a Comment