জ্যোতিষশাস্ত্রে এমন অনেক ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে, যা অবলম্বন করলে মানুষের ভাগ্য উজ্জ্বল হয়। কথিত আছে যে ঘরে কিছু জিনিস আনলে একজন ব্যক্তির ভাগ্য উজ্জ্বল হয়। এর জন্য আপনাকে অনেক ব্যবস্থা ইত্যাদি করতে হবে না। বরং কিছু জিনিস কিনেই মানুষের ভাগ্যের তালা খুলে যায়।
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, বাড়ির কিছু ছোট জিনিসের যত্ন না নেওয়ার কারণে বাস্তু ত্রুটি দেখা দেয়। বাড়ির বাস্তু দোষ ব্যক্তির সুখ ও উন্নতিতে বাধা সৃষ্টি করে। গৃহহীনের বসবাস শুরু হয় ঘরে। কিন্তু যদি এই বাস্তু ত্রুটিগুলির প্রতি মনোযোগ দেওয়া হয় তবে ব্যক্তিটি কাঙ্ক্ষিত সাফল্য লাভ করে। শঙ্খ খোলস এর অন্যতম প্রতিকার। ভগবান বিষ্ণু ও মা লক্ষ্মীর প্রিয় শঙ্খ খোলস ঘরে রাখলেই মানুষের কাজের পথে আসা বাধা দূর হয়।
কেন এটি পবিত্র বলে মনে করা হয় তা জেনে নিন
বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্রে শঙ্খকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। যে কোনো ধরনের পূজা, পাঠ, ধর্মীয় আচার বা শুভকাজ ইত্যাদি শুধুমাত্র শঙ্খ বাজানোর মাধ্যমেই শুরু হয়। এর পেছনে অনেক পৌরাণিক বিশ্বাসের কথা বলা হয়েছে। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে শঙ্খের কিছু প্রতিকার একজন মানুষকে ধনী করে তোলে। এছাড়াও, একজন বাস্তু দোষ থেকে মুক্তি পায়।
শঙ্খ শাঁস
- জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে বাড়ির পুজোর জায়গায় একটি ভালো শাঁখ রাখুন। কথিত আছে যে ঘরে শঙ্খ রাখলে মানুষের ভালো দিনের সূচনা হয়। শুধু তাই নয়, শঙ্খ রাখলে নেতিবাচক শক্তি নষ্ট হয়। শুধু তাই নয়, ঘরে বসেই লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
প্রতিদিন পূজার পর শঙ্খ ফুঁক শুভ বলে মনে করা হয়। কথিত আছে শঙ্খের আওয়াজ যেদিকে যায় সেই পরিবেশে ভূত, প্রেত, পিশাচ ইত্যাদি আসে না। শঙ্খের ধ্বনি পুরো বাড়িতে একটি ইতিবাচক শক্তি পূর্ণ করে, এটি সৌভাগ্য নিয়ে আসে।
- এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে পুজোর আগে শঙ্খ জলে ভরে দিতে হবে। কথিত আছে যে, শঙ্খ দিয়ে ভগবানের আরাধনা করলে তারা শীঘ্রই সুখী হয় এবং ঘরে দেবী লক্ষ্মী অধিবাস করেন। পুজোর পর বাড়ির সমস্ত কোণে শঙ্খ জল ছিটিয়ে দিন। এই প্রতিকার করলে বাস্তু দোষ দূর হয় এবং ঘরে শান্তি আসে। শুধু তাই নয়, পরিবারের সদস্যদের আয়ও বাড়ে।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য প্রচলিত বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে লেখা। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment