কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর সংসদ সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। রাহুল গান্ধীকে লোকসভার সদস্য হতে অযোগ্য ঘোষণা করেছে লোকসভা সচিবালয়। গুজরাটের সুরাট দায়রা আদালত মানহানির মামলায় তাকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। এর পরে, বিজেপি সাংসদরা লোকসভায় তাঁর সদস্যপদ বাতিলের দাবী তোলেন। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা এই দাবী মেনে নিয়েছেন। এই সিদ্ধান্তের কটাক্ষ করে উদ্ধব ঠাকরে বলেছেন, "এদেশে এখন চোরকে চোর বলা অপরাধ।"
রাহুল গান্ধীর সদস্যপদ বাতিলের দাবীতে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ভিত্তিতে নেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর কোনও সদস্যই সদস্য থাকার যোগ্য নন বলে বলা হয়েছিল। চার বছর আগে কর্ণাটকের এক নির্বাচনী প্রচার সভায় ওয়ানাডের সাংসদ রাহুল গান্ধী বলেন যে "কেন প্রতিটি চোরের পদবী মোদী।" সেই মামলায় রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয় সুরাটের আদালত। এই ইস্যুতে রাহুল গান্ধীর সদস্যপদ বাতিল করা হয়।
উদ্ধব ঠাকরে এই বিষয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন যে "আমাদের দেশে চোরকে চোর বলা অপরাধ। চোর এবং যারা দেশকে লুট করেছে তারা এখনও ছুটির দিনে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং রাহুল গান্ধীকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এটা গণতন্ত্রের হত্যা। সব সরকারি প্রতিষ্ঠান চাপের মুখে। এটাই স্বৈরাচারের অবসানের শুরু। প্রয়োজন শুধু লড়াইয়ের দিকনির্দেশনা দেওয়ার।"
উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠীর সাংসদ অরবিন্দ সাওয়ান্ত তার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন যে তিনি এই পদক্ষেপে বিস্মিত হননি, বা সুরাট আদালতের সিদ্ধান্তে তিনি অবাক হননি। তিনি বলেন, "এটা হতে হবে। সুরাটের আদালতে বিচার পরিবর্তন হলেই সিদ্ধান্ত হয়।" তিনি বলেন যে ঠাকরে গোষ্ঠী গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষা করতে কংগ্রেসের সাথে দাঁড়িয়েছে। এর সাথে অরবিন্দ সাওয়ান্ত আরও বলেছেন যে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে আদালত যে প্রস্তুতি দেখিয়েছে তা যদি শিবসেনার মামলার বিষয়ে দেখাত তবে আরও ভাল হত। যখন শিবসেনার ১৬ জন বিধায়কের বিধানসভা বাতিল করার কথা আসে, তখন কোনও তাড়াহুড়ো নেই।
No comments:
Post a Comment