ছাত্রাবাসের খাবার খেয়ে অসুস্থ ৩৪জন ছাত্রী।দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারি থানার অন্তর্গত স্কুলের হোস্টেলে পেটব্যথা ও বমি হওয়ার অভিযোগ করেছে ছাত্রীরা। প্রায় ৩৪ জন ছাত্রী এই অভিযোগ করেছেন, যার মধ্যে ১০ ছাত্রী পেটের সমস্যায় রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আরও ২৪ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পুরো বিষয়টির ওপর নজর রাখছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। বংশীহারি ব্লক হেলথ অফিসারের প্রাথমিক অনুমান খাদ্যে বিষক্রিয়ার জেরে এই ঘটনা ঘটেছে।
এলাকার ব্লক হেলথ অফিসার পুলকেশ সাহা জানিয়েছেন, গোটা ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। অন্যদিকে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সব শিক্ষার্থীর অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারি ব্লকের এই স্কুলে প্রধানত আদিবাসী সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে এই বিদ্যালয়টি চালু করা হয়েছে। এই স্কুলে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও পড়ে। এই বিদ্যালয়ের মধ্যে একটি ছাত্রাবাস আছে। ছেলে ও মেয়েদের জন্য আলাদা হোস্টেল আছে। জেলার বিভিন্ন এলাকার শিক্ষার্থীরা এই বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে এই বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের জলখাবারে পটকা, গুড় ও ডিম দেওয়া হয়। সকালের জলখাবারের পর অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ বোধ করতে থাকে। শিক্ষার্থীরা প্রথমে পাত্তা না দিলেও দুপুরের খাবার খাওয়ার পর শিক্ষার্থীদের পেটের সমস্যা শুরু হয়। কমবেশি সবাই বমি, ডায়রিয়া ও মাথাব্যথায় ভুগতে শুরু করে। বিষয়টি নজরে এলে স্কুলের পক্ষ থেকে প্রথম ওষুধ দেওয়া হয়।
তারপর বৃহস্পতিবার বিকেলে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় রশিদপুর পল্লী হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। মোট ৩৪ জন ছাত্রীকে আনা হয়েছিল, যার মধ্যে ২৪ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অসুস্থতার কারণে ১০ ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, সবার অবস্থা স্থিতিশীল, এদিকে অনেক ছাত্রীর একই সমস্যা রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক অনুমান খাবারে বিষক্রিয়ার কারণে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীদের দেখাশোনাকারী নমিতা সরকার বলেন, দুপুরের খাবার খেয়ে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিষয়টি নজরে আসতেই তাকে চিকিৎসার জন্য রশিদপুর পল্লী হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
No comments:
Post a Comment