আদিবাসী সেঙ্গেল প্রচারাভিযান আদিবাসী মহিলাদের বিজেপিতে যোগদানের জোরপূর্বক 'দণ্ডবত'-এর প্রতিবাদে সোমবার ১২ ঘন্টার বাংলা বনধের ডাক দিয়েছে। আদিবাসীদের বঙ্গ বনধের প্রভাব মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুর, উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণবঙ্গের অনেক জঙ্গলমহলে পড়েছে। এতে জনজীবন ব্যাহত হয়েছে। বাস ও পরিবহন পরিষেবাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জানিয়ে রাখি, দক্ষিণ দিনাজপুরে আদিবাসী মহিলাদের তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরার কারণে রাজ্যের রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। শাসক দলের বিরুদ্ধে আদিবাসী নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূলের দুই নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আদিবাসীদের ডাকা বাংলা বনধের প্রভাব পড়েছে মালদায়। সড়কে প্রাইভেট বাস দেখা না গেলেও সরকারি বাস চলছে। গজলে সরকারি বাসও বন্ধ ছিল। ৩৪ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়েছে গজলে। হুগলির হরিপালের গজারমোড়ে ডানকুনি-আরামবাগ অহল্যাবাই সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। ধনিয়াখালীর মদন মোহনতলায় শ্রমিকরা জড়ো হয়ে চুঁচুড়া তারকেশ্বর রোড অবরোধ করে।
আদিবাসী সেঞ্জেল অভিযানের কর্মীদের বাধায় বাঁকুড়ায় বাস চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। বাসস্ট্যান্ডে বেশির ভাগ বাস দাঁড়িয়ে আছে। বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। বাঁকুড়ার জঙ্গলমহল, রায়পুর, সারাঙ্গা, সিমলাপাল তালডাঙ্গা এবং অন্যান্য রুটে কয়েকটি বাস চলছিল, কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সব বাসের চাকা থেমে যায়। শুধুমাত্র দুর্গাপুর আসানসোল রুটের বাস চলাচল করছে।
আদিবাসীদের বনধের জেরে পুরুলিয়ায় পথ অবরোধ শুরু করে সংগঠনের সদস্যরা। বনধ সমর্থকরা এখানে ৩২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে। তবে এ নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জেলার বাকি অংশ থেকে এখন পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। পুরুলিয়া বাস মালিক সমিতি পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী এ দিন বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যখনই বনধ ঘোষণা করা হয়, তখনই তারা বাস বন্ধ করে দেয়।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের পাশাপাশি বংশীহারি থানার অন্তর্গত সরাইহাটে জাতীয় সড়কে বিক্ষোভ। এই ধর্নার নেতৃত্ব দেন দিল আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের উত্তরবঙ্গ অঞ্চলের সহ-সভাপতি বিভূতি টুডু। জাতীয় সড়কে তীর-ধনুক নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বনধ সমর্থকরা। জাতীয় সড়কে কোনও ধরনের যান চলাচলের অনুমতি নেই। গতকাল সকাল সাতটা থেকে বালুরঘাট পাহাড়ি মোড়ে বিক্ষোভ শুরু করেন আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের সদস্যরা। তীর-ধনুক নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বনধ সমর্থকরা।
No comments:
Post a Comment