"১০০ তৃণমূল বিধায়ক নিয়োগ দুর্নীতির এজেন্ট", বিস্ফোরক শুভেন্দু - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday 17 April 2023

"১০০ তৃণমূল বিধায়ক নিয়োগ দুর্নীতির এজেন্ট", বিস্ফোরক শুভেন্দু



 শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে তৃণমূল বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।  এর সঙ্গে আরও তিন তৃণমূল নেতাকে আটক করা হয়েছে।  এদিকে, বিরোধী দলের নেতা এবং বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন যে প্রায় ১০০ তৃণমূল বিধায়ক শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে এজেন্ট হিসাবে কাজ করেছেন।  শুভেন্দু অধিকারী কিছু বিধায়কের সুপারিশের একটি তালিকাও জারি করেছেন।



উল্লেখ্য, বাংলার শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের পর এবার বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করল সিবিআই।  



 এদিকে, নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে ফের একবার রাজ্যের শাসক দলকে কটাক্ষ করলেন বিধানসভার বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী।  তিনি বলেন, “আমি ২১ বছর তাদের (তৃণমূল) সঙ্গে ছিলাম।  আমি এই পার্টি সম্পর্কে অন্য অনেকের চেয়ে বেশি জানি।  ১০০ জন বিধায়ক এজেন্ট হিসাবে কাজ করেছেন।"  যদিও বিরোধী দলের নেতা জানিয়েছেন, ১০০ জনের তালিকায় কয়েকজন প্রাক্তন বিধায়কের নাম রয়েছে।  যারা ২০১৬ সালের টিকিট পাননি।



 শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, ওই জনপ্রতিনিধিরা চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়েছেন।  বিরোধী দলের নেতা দাবী করেন, কেউ ১৫ লাখ, কেউ ১৬ লাখ, কেউ ১৮ লাখ করেছেন।  তিনি বলেন, “ওরা পুরো টাকা পায়নি।  ৮-১০ লক্ষ কলকাতায় পাঠানো হয়েছে এবং বাকি ক্ষেত্রে ৫-৬ লক্ষ নিজের কাছে রেখেছে।"



শুধু তাই নয়, সংশোধনাগারে পাঠানোর জন্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যের মতো বিধায়কদেরও আক্রমণ করেন তিনি।  তিনি বলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য জেলে।  জীবন কৃষ্ণ সাহা, কানাই মন্ডল, তাপস সাহার তদন্ত চলছে।  হাইকোর্টের দরজায় প্রায় ঘোরাফেরা করছেন অখিল গিরি।  উত্তর দিনাজপুরে গৌতম নামে বিধায়ক, পুরুলিয়ায় সুশান্ত নামে বিধায়ক… অনেক বিধায়ক এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন।  পরিবারের সদস্যদের চাকরি দিয়েছেন এবং চাকরি বিক্রি করেছেন।"


 শুভেন্দু অধিকারী কটাক্ষের সুরে বলেন যে "এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী ৬-৮ মাসে বিধানসভায় তৃণমূল বিধায়কের সংখ্যা ১০০-এ নেমে আসতে পারে।" শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী মিথ্যা বলছেন।  লেটারহেডে কিছু লিখলে দেখতে চাই কত লোকের চাকরি হয়েছে।  এটা তদন্ত করা হোক।  ২০১২ সালে দায়িত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।  সে সময় কত লোক চাকরি পেয়েছিল তাও খতিয়ে দেখা উচিৎ।"

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad