হিন্দু ধর্মে অনেক ঋষি ও সাধু সম্প্রদায় রয়েছে। এর সাথে তাদের জীবনযাত্রাও খুব আলাদা এবং আকর্ষণীয়। অঘোরি বাবা হলেন ঋষি ও সাধুদের এমন একটি ভ্রাতৃত্ব যারা মৃতদেহের সাথেও শারীরিক সম্পর্ক করে।
সনাতন ধর্মে ঋষি ও সাধুদের অত্যন্ত গুরুত্ব রয়েছে। ঋষি-দরবেশদের অনেক ভ্রাতৃপ্রতিম ও আখড়া ইত্যাদি রয়েছে। এই সমস্ত ঋষিদের জীবনযাত্রা এবং জীবনধারা একেবারেই আলাদা। কিছু ঋষি ও সাধুর জীবন অত্যন্ত রহস্যময় এবং আকর্ষণীয়। তাদের মধ্যে অঘোরি বাবাই প্রধান। অঘোরি বাবা সাধারণত শ্মশানে থাকেন। স্বাভাবিক জীবনে তারা খুব কমই দেখা যায়। এ ছাড়া নাগা সাধুদের জীবনও আকর্ষণীয় ও রহস্যময়। কিন্তু সাধু ও ঋষিদের ভ্রাতৃত্বে একটি জিনিস সাধারণত দেখা যায় যে তারা অবিবাহিত থাকে এবং ব্রহ্মচর্য পালন করে। কিন্তু অঘোরি বাবাদের ক্ষেত্রে তা নয়।
অঘোরি বাবা লাশের সাথে সম্পর্ক করে
অঘোরি বাবা হলেন ঋষি ও সাধুদের এমন একটি ভ্রাতৃত্ব যারা সাধারণত শ্মশানেই থাকেন। তারা শিবের ভক্ত এবং শ্মশানে অবস্থান করেই ভগবানের ভক্তি করেন। শুধু তাই নয়, তিনি তার অদ্ভুত জীবনযাপনের জন্যও বিখ্যাত। অঘোরি বাবা রাতে তন্ত্র-মন্ত্র করেন। তারা ভয়ঙ্কর কাজ করে। আধপোড়া লাশ খাওয়ার মত। লাশের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে । শুধু তাই নয়, অঘোরি বাবা ঋতুস্রাবের সময় মহিলাদের সঙ্গে সম্পর্ক করেন। তারা বিশ্বাস করে যে মৃতদেহের সাথে সম্পর্ক রেখেও যদি তারা নিজেকে ভগবানের ভক্তিতে নিমগ্ন রাখতে পারে তবে এটি তাদের সাধনার একটি ভিন্ন স্তর।
অঘোরি বাবা মানুষের মাংস খায়
অঘোরি বাবাদের জীবনের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দিক হল তারা মানুষের মাংস খায়। অঘোরি বাবা শ্মশানে থাকেন এবং অর্ধপোড়া মৃতদেহের মাংস খান। তারা বিশ্বাস করেন যে এটি করলে তাদের তন্ত্র শক্তি শক্তিশালী হয়। এ ছাড়া তারা অনেক ধরনের মাদকও গ্রহন করে থাকে।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে লেখা। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment