নতুন কোনও দেশ গঠন হয় কিভাবে?
পিঙ্কি রায়, ২৬ এপ্রিল: বর্তমানে আমাদের দেশসহ সারা বিশ্বে পলাতক নিত্যানন্দের তথাকথিত দেশ কৈলাসাকে নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা। নিত্যানন্দও অনলাইন মাধ্যমে তার দেশ কৈলাসার লোকজনকে নাগরিকত্ব দেওয়া শুরু করেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হল কোনও ব্যক্তি কি একটি দ্বীপ কিনে দেশ হিসেবে ঘোষণা করতে পারে? হয়তো তা নয়। কারণ আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বে এমন অনেক আইন রয়েছে যেগুলোর আওতায় আসার পরই কোনও স্থান একটি দেশের মর্যাদা পায়। চলুন তাহলে জেনে নেই কীভাবে একটি নতুন দেশ গঠিত হয়-
বর্তমানে সারা বিশ্বে রয়েছে ২০০ টিরও বেশি দেশ, একটি নতুন দেশ গঠনের প্রক্রিয়া খুবই জটিল। কেউ এক টুকরো ভূমিকে দেশ হিসেবে ঘোষণা করলে পৃথিবীর সব দেশ এত সহজে তাকে স্বীকৃতি দেয় না।
১৯৩৫ সালের ২৬শে ডিসেম্বর উরুগুয়ের রাজধানী মন্টেভিডিওতে একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে প্রধানত চারটি শর্তের কথা বলা হয় এবং বলা হয়, এই চারটি শর্ত না মানা পর্যন্ত কোনো স্থানকে নতুন দেশ হিসেবে ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি নতুন দেশকে জাতিসংঘের স্বীকৃতি পাওয়াও বাধ্যতামূলক করা হয়।
চারটি শর্ত:
ওই চারটি শর্তের মধ্যে প্রথম শর্ত ছিল নতুন দেশ তখনই স্বীকৃতি পাবে যখন সেখানে স্থায়ী জনসংখ্যা থাকবে। দ্বিতীয় শর্ত ছিল নতুন দেশের একটি নির্দিষ্ট এলাকা ফল বা ভৌগোলিক এলাকা থাকতে হবে। তৃতীয় শর্ত ছিল একটি সরকার বা একটি পরিচালনা পর্ষদ থাকতে হবে। আর শেষ শর্ত ছিল যে এলাকাকে নতুন দেশ হিসেবে ঘোষণা করা হবে তার সঙ্গে অন্যান্য জাতির সুসম্পর্ক থাকতে হবে। এই চারটি শর্ত পূরণের পর সেই নতুন দেশ জাতিসংঘের স্বীকৃতি পায়। এই পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হলেই কেবল একটি নতুন দেশ গঠিত হয়।
No comments:
Post a Comment