প্যারা এসএফ কমান্ডো! বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সেনাবাহিনী

 

 প্রতিটি দেশের নিজেস্ব সেনাবাহিনী রয়েছে। এবং সেই সেনাবাহিনীতে এমন একটি বিশেষ স্কোয়াড রয়েছে যা সেরা বলে বিবেচিত হয়। যেমন এদেশের প্যারা এসএফ কমান্ডো। সেনাবাহিনীর এই বিশেষ সামরিক ইউনিট  সহজেই যেকোনও অসাধ্য কাজ করতে পারে।  ২০১৬ সালে পাকিস্তানে একটি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছিল এবং এই সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে অনেক সন্ত্রাসী নিহত হয়েছিল, এটি প্যারা এসএফ কমান্ডোদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল।

পরবর্তীতে এ নিয়ে উরি দ্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চলচ্চিত্রও নির্মিত হয়। তাহলে চলুন জেনে নেই প্যারা এসএফ কমান্ডো সম্পর্কে-

 প্যারা এসএফ কমান্ডো কারা:

 সেনাবাহিনীর প্যারাসুট রেজিমেন্ট নামে একটি বিশেষ বাহিনী ইউনিট রয়েছে। এই প্যারা এসএফ কমান্ডো একই রেজিমেন্টের অংশ।  এগুলি সেনাবাহিনী দ্বারা বিশেষ অভিযান, সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান, অপ্রচলিত আক্রমণ, বিশেষ অনুসন্ধান অভিযান, বিদেশে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং বিদ্রোহ দমনের জন্য ব্যবহৃত হয়। সেনাবাহিনীকে যখন বড় ধরনের অভিযান চালাতে হয় তখনই তাঁদের স্মরণ করা হয়।

  নিয়োগ পদ্ধতি :

 সেনাবাহিনীর প্যারা এসএফ কমান্ডোদের ব্যাটালিয়নে সরাসরি কোনও নিয়োগ নেই।  কেউ যদি প্যারা এসএফ কমান্ডো হতে চায়, তাহলে তাকে প্রথমে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে হবে।  সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার পরেই প্যারাট্রুপারদের জন্য আবেদন করতে পারেন।  এর সঙ্গে, প্যারাট্রুপারগুলিতে যোগদানের জন্য  কমান্ডিং অফিসারের সুপারিশপত্রও পেতে হবে।  বর্তমানে সেনাবাহিনীতে প্যারা এসএফ কমান্ডোদের মোট ৯টি ব্যাটালিয়ন রয়েছে।

প্যারা এসএফ কমান্ডো হওয়ার জন্য একজন সেনাকে খুব কঠিন প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে যেতে হয়।  ৯০ দিন ধরে চলা এই প্রবেশনারি প্রশিক্ষণটি সবাই সম্পূর্ণ করতে পারে না।  ৮০ শতাংশ সৈন্য মাঝপথেই এই প্রশিক্ষণ ছেড়ে দেয়।

 আর শেষ পর্যন্ত মাত্র ২ শতাংশ জওয়ানকে প্যারাএসএফ কমান্ডোদের জন্য নির্বাচিত করা হয়।  সবচেয়ে বড় কথা হল এই ট্রেনিং চলাকালীন অনেক সময় এই জওয়ানদের ৩৬ ঘন্টা খাওয়া বা পান করার কিছু দেওয়া হয় না এবং এই ৩৬ ঘন্টার মধ্যে তারা এক মিনিটের জন্যও ঘুময় না।  ভাবুন একজন সাধারণ মানুষ কখনো এটা করতে পারবে কি না?

প্যারা এসএফ কমান্ডোরা যখন তাদের ৯০ দিনের কঠোর প্রশিক্ষণ শেষ করে, তখন তারা আর সাধারণ মানুষ থাকে না, তাদের গ্লাস খাওয়ানো হয়।  আসলে, এটি একটি ঐতিহ্য যা বলে যে প্যারা এসএফ কমান্ডো সাধারণ মানুষ নয়।  এই প্রথায় সৈন্যদের প্রশিক্ষণ শেষ হলে, তাদের একটি পাটিয়ালা পেগ রাম দেওয়া হয়, যা তাদের শেষ করতে হয়।  এই পাতিয়ালা পেগটি তখনই শেষ বলে বিবেচিত হয় যখন জওয়ান, পুরো মদ পান করার পরে, দাঁত দিয়ে গ্লাসটি কামড়ায় এবং এর একটি টুকরো গিলে ফেলে।