বৈশাখী উৎসবের কিছু বিশেষ বিষয় - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday 11 April 2023

বৈশাখী উৎসবের কিছু বিশেষ বিষয়

 






 প্রতি বছর মেষ সংক্রান্তিতে পালিত হয় বৈশাখী উৎসব। পাঞ্জাবি সম্প্রদায়ের লোকেরা এই বৈশাখী উৎসব পালন করে থাকে। যদিও বৈশাখী সারা দেশে পালিত হয়, কিন্তু পাঞ্জাব, দিল্লি এবং হরিয়ানায় এটি অত্যন্ত আনন্দ এবং উৎসাহের সঙ্গে পালিত হয়ে থাকে।  এটি ফসল কাটার মৌসুম হিসাবেও পরিচিত। এটি সুখ ও সমৃদ্ধির একটি উৎসব।  এটি বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন নামে পরিচিত যেমন আসামের বিহু, বাংলায় নববর্ষ, কেরালায় পুরম বিষু।  তবে সবার একই দিনে এই বৈশাখী হয় না, কারোর আগে কারোর পড়ে পালিত হয় এই উৎসব। আসুন তবে জেনে নেই এ বছরের বৈশাখী তারিখ এবং এই দিনের গুরুত্ব-


 এবছর ১৪ই এপ্রিল পালিত হবে বৈশাখী উৎসব।  পাঞ্জাবের লোকেদের জন্য, বিশেষ করে শিখদের কাছে বৈশাখী একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উৎসব।   বৈশাখীকে শিখ নববর্ষ হিসেবেও পালিত হয়।


 বৈশাখীর তাৎপর্য:

বৈশাখী মূলত ভালো ফসল ফলানোর আনন্দে পালিত হয়।  এই পবিত্র উৎসব কৃষকদের মনে করা হয়।  এই দিনে শস্যের পূজো করে এবং ফসল কাটার পর ঘরে আসার সুখে ঈশ্বর ও প্রকৃতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।  সুখে ভাংড়া নৃত্য পরিবেশিত হয়।  বৈশাখী শুধু একটি কৃষি উৎসব নয়, শিখ সম্প্রদায়ের জন্য একটি ধর্মীয় উৎসবও।  শিখ সম্প্রদায়ের লোকেরা বৈশাখীকে খালসা পন্থের প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে পালন করে।



বৈশাখী নামের কারণ:

 বৈশাখীর সময় আকাশে বিশাখা নক্ষত্র থাকে।  বিশাখা নক্ষত্র পূর্ণিমা থাকায় এই মাসকে বৈশাখ বলা হয়।  এই দিনে লোকেরা গঙ্গায় স্নান করে এবং গঙ্গা দেবীর স্তব করে।  এটা বিশ্বাস করা হয় যে এটি করলে অশ্বেধ যজ্ঞ করার মতোই ফল পাওয়া যায়।


 বৈশাখীর ইতিহাস:

১৩ই এপ্রিল, ১৬৯৯, বৈশাখীর দিনে, শিখদের দশম এবং শেষ গুরু, গুরু গোবিন্দ সিং খালসা পন্থ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।  খালসাপন্থ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ছিল ধর্ম ও ন্যায়ের আদর্শের জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকা।  আর তাই শিখদের কাছে বৈশাখীর দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad