প্রতিদিন রেলপথে লক্ষ লক্ষ লোক যাতায়াত করে, রেল হল দেশের লাইফলাইন । ভারতীয় রেলসংস্থা সারা দেশে সাড়ে বারো হাজারেরও বেশি যাত্রীবাহী ট্রেন পরিচালনা করে। এর মধ্যে কয়েকটি ট্রেন বিশেষ সুবিধে দিয়ে সজ্জিত রয়েছে। এই ধরনের ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে রাজধানী এক্সপ্রেস এবং শতাব্দী এক্সপ্রেস, যা রেলওয়ের গর্ব বলে মনে করা হয়। সেগুলোতে ভ্রমণের স্বপ্ন দেখেন অনেকেই। কিন্তু তাদের মধ্যে এত বিশেষ কি আছে ?
রাজধানী এক্সপ্রেস:
রাজধানী এক্সপ্রেস ট্রেনটি কেবল তার গতির জন্যই পরিচিত নয়, এই ট্রেনটি নিরাপত্তা এবং সুবিধার দিক থেকেও শীর্ষস্থানীয়। এর গড় গতি হতে পারে ১৩০ কিমি/ঘন্টা এবং সর্বোচ্চ গতি ১৪০ কিমি/ঘন্টা। এটি সেরা ট্রেনগুলির মধ্যে গণনা করা হয়। এ জন্য প্রথমে ট্র্যাক পরিষ্কার রাখা হয়, যাতে এই ট্রেন সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছতে পারে। এই ট্রেনের রেকর্ড দেখায় যে এটি সময়মতো যাত্রা শেষ করে। এই কারণেই লোকে এটিকে বেশি পছন্দ করে।
রাজধানীর ভাড়া :
দেশের প্রথম রাজধানী এক্সপ্রেস ১৯৬৯ সালে হাওড়া থেকে নয়াদিল্লির মধ্যে পরিচালিত হয়েছিল। দেশে দু ডজনের বেশি রাজধানী ট্রেন চলে।
কেন ট্রেনের নামকরণ করা হল রাজধানী এক্সপ্রেস?
আসলে, এই ট্রেনগুলি দেশের রাজধানী দিল্লি থেকে অন্যান্য রাজ্যের রাজধানীতে চালানো হয়। রাজধানী এক্সপ্রেসের সমস্ত কোচ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং তাদের ভাড়াও সাধারণ ট্রেনের চেয়ে বেশি।
শতাব্দী এক্সপ্রেস:
পন্ডিত জওহরলাল নেহরুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ১৯৮৮ সালে শতাব্দী এক্সপ্রেস ট্রেনটির নামকরণ করা হয়েছিল। প্রথম শতাব্দী এক্সপ্রেস ট্রেনটি নয়াদিল্লি এবং ঝাঁসির মধ্যে চালানো হয়েছিল। পরিচালনা এবং সুবিধার দিক থেকে, শতাব্দী এক্সপ্রেস ট্রেনের সংখ্যা রাজধানীর পরে। শতাব্দী এক্সপ্রেসে কোনো স্লিপার ক্লাস কোচ নেই, তবে এতে এসি চেয়ার কার এবং এসি এক্সিকিউটিভ চেয়ার কারের সুবিধা রয়েছে।
সময় মতো যাত্রা শেষ করে:
শতাব্দী এক্সপ্রেস ট্রেনটি একটি সুপারফাস্ট ক্যাটাগরির ট্রেন, এর সর্বোচ্চ গতি হল ১৬০ কিমি/ঘন্টা এবং গড় গতি হল ১৩০ কিমি/ঘন্টা। ভোপাল শতাব্দী এক্সপ্রেস দেশের দ্রুততম চলমান শতাব্দী এক্সপ্রেস। এই ট্রেনটি সেই স্টেশনগুলির মধ্যে চালানো হয়, যেগুলির দূরত্ব ৬ থেকে ৮ ঘন্টার মধ্যে শেষ করা হয়।
No comments:
Post a Comment