দ্বারকায় অবস্থিত নাগেশ্বর মহাদেবের মন্দিরকে ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে একটি বলে মনে করা হয়। এই মন্দিরটি গুজরাটের দ্বারকা ধাম থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বিশ্বাস করা হয় যে যাদের কুণ্ডলীতে সর্প দোষ আছে তারা এই মন্দিরে গেলে তাদের এই দোষ দূর হয়। নাগেশ্বর মানে সাপের প্রভু। কথিত আছে,এই মন্দিরে বিভিন্ন ধাতুর তৈরি সাপ নিবেদন করলে সাপের দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। চলুন তাহলে জেনে নেই এই নাগেশ্বর মন্দির সম্পর্কে-
কিংবদন্তি অনুসারে, দারুকা নামক এক রাক্ষস কন্যা কঠোর তপস্যা করে মা পার্বতীকে খুশি করে বর পেয়েছিলেন। বর হিসেবে দারুকা বলে যে ওই বনে অনেক প্রকার ঐশ্বরিক ওষুধ আছে। কিন্তু তারা দারুকা বনে যেতে পারে না। তাদের যেন এই বর দান দেওয়া হয় যে তারা যেন ওই বনে যেতে পারে। এতে মা খুশি হয়ে এই বর দেন।
বর পাওয়া মাত্রই রাক্ষসরা বনে অত্যাচার শুরু করে দেয়। এবং দেবতাদের কাছ থেকে বন ছিনিয়ে নেয়। সেই সঙ্গে বনে থাকা শিবভক্ত সুপ্রিয়াকে বন্দী করে ফেলে। সুপ্রিয়া ভগবান শিবের কাছে প্রার্থনা করে, রাক্ষসদের হাত থেকে রক্ষা এবং তাদের ধ্বংসের বর চান। শিব তখন গর্ত থেকে প্রকট হয়ে, অসুর দের বোধ করেন।
তার সঙ্গে সঙ্গে চারটি দরজা বিশিষ্ট একটি সুন্দর মন্দির এবং এর মাঝখানে একটি দিব্য জ্যোতির্লিঙ্গ দেখা যায়।তারপর সেখানে এই স্থান নাগেশ্বর মহাদেবের মন্দির স্থাপন হয়।
No comments:
Post a Comment