রাবার উৎপাদনে ভারত চতুর্থ বৃহত্তম দেশ। কম খরচে বহুগুণ বেশি মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে বিপুল সংখ্যক কৃষক এ গাছ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারও এর জন্য অনুদান দিয়ে কৃষকদের উৎসাহিত করার চেষ্টা করছে।
এসব কাজে রাবার ব্যবহার করা হয়
টায়ার এবং টিউব তৈরিতে সারা বিশ্বে ৭৮% রাবার ব্যবহৃত হয়। রাবার সোল, টায়ার, রেফ্রিজারেটর, ইঞ্জিন সিল এবং বল তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। এমতাবস্থায় রাবার গাছ চাষ করে কৃষকরা ভালো লাভ করতে পারেন। কেরালা, কর্ণাটক ছাড়াও তামিলনাড়ুতে এটি ব্যাপকভাবে চাষ করা হয়। বর্তমানে দেশের অন্যান্য রাজ্যেও এর চাষ শুরু হয়েছে।
এভাবেই রাবার চাষ করতে হয়
ল্যাটেরাইটযুক্ত গভীর লাল দোআঁশ মাটি রাবার চাষের জন্য উপযুক্ত। এই মাটির PH মান ৪.৫-৬.০ এর মধ্যে হওয়া উচিৎ। জুলাই মাসটিকে এর চারা রোপণের জন্য উপযুক্ত বলে মনে করা হয়। রাবার গাছ লাগানোর জন্য প্রথমে জমিতে গভীর লাঙ্গল করতে হবে। তারপর মাঠ সমান করুন। মাঠে ৩ মিটার দূরত্ব রেখে এক ফুট চওড়া ও এক ফুট গভীর গর্ত তৈরি করুন। এতে একটি রাবার গাছ লাগান। এছাড়া গর্তে জৈব সার প্রয়োগ করে মাটি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। রাবার গাছের ভালো বিকাশের জন্য অবিরাম সেচ দিতে হবে।
৪০ বছরের জন্য বাম্পার লাভ
রাবার গাছ থেকে যে ল্যাটেক্স বের হয় তা দুধের মতো তরল, যা রাবারের ছাল কেটে ট্যাপ পদ্ধতিতে পাওয়া যায়। রাবার গাছ ৫ম বছর থেকে উৎপাদন শুরু করে। এই গাছটি ৪০ বছর ধরে অবিরাম ফলন দেয়। আপনি এক একরে ১৫০টি রাবার গাছ লাগাতে পারেন। একটি গাছ বছরে ২.৭৫ কেজি রাবার উৎপাদন করে। এর মাধ্যমে কৃষকরা ৪০ বছর ধরে একটানা বাম্পার মুনাফা অর্জন করতে পারবেন।
No comments:
Post a Comment