কোচবিহার: ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভষ্মীভূত বক্সিরহাট বাজারের এক অ়ংশ। সম্পূর্ণভাবে পুড়ে ছাই হয়ে প্রধান সড়ক সংলগ্ন এই বাজারের ১৬ টি দোকান। ব্যবসায়ীদের দাবী, ক্ষতির পরিমাণ প্রায় এক কোটি টাকার কাছাকাছি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে জানা যায় বুধবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ বাজার সংলগ্ন রাস্তার ধারে একটি দর্জির দোকান থেকে আগুনের শিখা বেরতে দেখেন স্থানীয়রা, সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় বক্সিরহাট দমকল কেন্দ্রে। প্রথমে দমকলের একটি ইঞ্জিন এবং পরবর্তীতে আরও একটি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর জন্য আনা হয়। কিন্তু আগুনে বেগ পেতে সমস্যা হওয়ায় তুফানগঞ্জ থেকে আনা হয় দমকলের আরও একটি ইঞ্জিন। পাশাপাশি খবর পেয়ে প্রতিবেশী অসমের গোলকগঞ্জ এবং ধুবড়ি থেকেও দমকলের দুটি ইঞ্জিন এসে একসঙ্গে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে।
ঘন্টা দেড়েকের প্রচেষ্টার পর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ততক্ষণে পুড়ে যায় দুটি দর্জির দোকান, একটি ওষুধের দোকান দুটি প্রসাধনী, দুটি গালামাল, স্বর্ণকার, ও কাঁচামালের দোকান সহ ১৬ টি দোকান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসেন তুফানগঞ্জ ২-এর বিডিও প্রসেনজিৎ কুন্ডু। বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে হাজির হন বক্সিরহাট থানার ওসি শুভজিৎ ঝা, তুফানগঞ্জ ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি স্বপন কুমার সাহা সহ অন্যান্যরা।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, সামনে ঈদ ও নববর্ষের আগে তারা অনেকেই দোকানে নতুন ও বেশি করে মালপত্র তুলেছিলেন। আগুনের ভয়াবহতা বেশি থাকায় তারা কেউই কোনও জিনিসপত্র বাইরে বের করতে পারেননি। তাদের কথায়, সব মিলিয়ে প্রায় এক কোটি টাকার কাছাকাছি ক্ষতি হয়েছে।
তারা জানান, অতি শীঘ্র সরকারি সহযোগিতা না পেলে তারা পথে বসে যাবেন। অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ জানা না গেলেও ব্যবসায়ী ও দমকল কর্মীদের ধারণা এক দর্জির দোকানের শর্ট সার্কিট বা অন্য কোনও কারণে প্রথম আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে। পরে সেখান থেকেই দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে অন্যত্র। ঘটনা ঘিরে তীব্র আতঙ্ক এলাকায়।
No comments:
Post a Comment