উত্তর ২৪ পরগনা: শুরুটা হয়েছিল সেই ১৮২২ খ্রিস্টাব্দে। এই বছর ২০১তম বর্ষে পদার্পণ করল গোবরডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী মসলা মেলা। গোবরডাঙ্গা জমিদার বাড়ী এলাকায়, ১৮২২ খ্রিস্টাব্দে জমিদার খেলা রাম মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে হয়েছিলেন এই মসলা মেলার শুভ উদ্বোধন।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকরা তাদের চাষ করা বিভিন্ন মসলা নিয়ে এখানে আসেন। সাত দিন ধরে চলে এই মেলা, প্রথম থেকেই ধারাবাহিকভাবে এই মেলা হয়ে আসছে। চাষীরা যাতে এক জায়গায় বসে সব বিক্রি করতে পারেন, সেই কথা মাথায় রেখেই জমিদার খেলা রাম মুখোপাধ্যায় পহেলা বৈশাখের দিনে এই মসলা মেলার ব্যবস্থা করেছিলেন। সেই থেকেই আজও হয়ে আসছে এই মসলা মেলা।
সাধারণ মানুষ থেকে ব্যবসায়ী প্রত্যেকেই এই মেলা থেকে মসলা কিনে নিয়ে গিয়ে সারা বছরের জন্য সঞ্চয় করে রাখেন। সেই নিয়ম মতই শনিবার সকাল থেকেই মসলা মেলায় চোখে পড়ল উপচে পড়া ভিড়। ধোনে, জিরা, লঙ্কা সহ অন্যান্য সব মসলাই পাওয়া যায় এই মেলাতে।
মসলা মেলার পাশাপাশি সাত দিন ধরেই চলবে মানুষের বিনোদনের জন্য বিনোদন মেলা। সেখানে নাগরদোলা থেকে শুরু করে খাওয়া-দাওয়া সমস্ত কিছুরই ব্যবস্থা রয়েছে। গোবরডাঙ্গার এই ঐতিহ্যবাহী মেলা দেখতে দূর দিগন্ত থেকে মানুষ ভিড় করেন।
এক বিক্রেতা জানান, তিনি আগে প্রায় ৭-৮ বছর ধরে এই মেলায় এসেছেন। মাঝে দু'বছর বাদ দিয়ে ফের আসা শুরু করেন। তিনি বলেন, 'এদিন মেলায় ভালোই ভিড় হয়েছে। বাজার থেকে কম দামে বিক্রি হয় বলে অনেক সাধারণ মানুষও ব্যাগ ভর্তি করে সারা বছরের জন্য মসলা কিনে নিয়ে যান।'
অপর এক বিক্রেতা অসীম মজুমদার বলেন, 'এটা একটা ঐতিহাসিক মেলা। দেশে কোথাও আর এই মেলা হয় না। সব ধরণের মসলাই এখানে মেলে।' তিনি জানান, বিক্রিও ভালো হচ্ছে। দোকানের থেকে কম দামে পাওয়া যায় বলেই দূরদূরান্ত থেকে লোকজন এখানে ভিড় করেন।
অপরদিকে, এই মেলায় আসা কয়েকজন ক্রেতা জানান, প্রতি বছরই তারা এই মেলায় আসেন। এখানে সস্তায় মসলা পাওয়া যায় বলে, সারা বছরের জন্য কিনে নিয়ে যান। এক ক্রেতা নন্দিতা বিশ্বাস বলেন, 'মসলা কেনার পাশাপাশি মেলা ঘোরাও হয়, তাই এখানে আসা।
No comments:
Post a Comment