বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, সবকিছুরই ইতিবাচক বা নেতিবাচক শক্তি থাকে, যা আশেপাশের পরিবেশকে প্রভাবিত করে। তাই বাস্তুশাস্ত্রে নির্দেশনা, রং, দ্রব্য ইত্যাদি সম্পর্কে নিয়ম দেওয়া হয়েছে। একইভাবে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা বাড়াতে, সম্পর্ক মজবুত করতে বাস্তু টিপসও দেওয়া হয়েছে।
সদ্য বিবাহিত দম্পতির ঘরে এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন
সদ্য বিবাহিত দম্পতির ঘরের দেয়াল, তাদের রঙ, ঘরে রাখা জিনিসগুলো তাদের সম্পর্কের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। সব বিষয় সঠিকভাবে বেছে নিলে সদ্য বিবাহিত দম্পতির মধ্যে সম্পর্ক মজবুত হয়, তাদের মধ্যে প্রেম বাড়ে। সেই সঙ্গে সম্পর্কের মধ্যে আস্থা বজায় থাকে।
- বাস্তু মতে সদ্য বিবাহিত দম্পতির ঘর দক্ষিণ-পূর্ব দিকে হওয়া উচিৎ । যদি এটি সম্ভব না হয়, তবে বিছানাটি এমনভাবে ঘরে রাখতে হবে যাতে এটি দক্ষিণ-পূর্ব দিকে থাকে। এছাড়াও, তাদের এমনভাবে ঘুমাতে হবে যাতে তাদের মাথা দক্ষিণ দিকে এবং পা উত্তর দিকে থাকে।
এ ছাড়া ঘুমানোর সময় নববধূর পা শোওয়ার ঘর থেকে দরজার দিকে না হওয়া উচিৎ নয় । বা বাড়ির প্রধান দরজা নববিবাহিত দম্পতির ঘরের ঠিক বাইরে থাকা উচিৎ নয়। তা না হলে তাদের মধ্যে ভালোবাসা কমতে থাকে এবং সম্পর্কের মাধুর্যও নষ্ট হয়ে যায়।
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে সদ্য বিবাহিত দম্পতির বিছানা কাঠের তৈরি হওয়া উচিৎ । এটি তাদের সম্পর্কের মধ্যে উষ্ণতা বজায় রাখে। অন্যদিকে, লোহা বা অন্যান্য জিনিসের তৈরি বিছানা তাদের সম্পর্ক নষ্ট করতে পারে।
- সদ্য বিবাহিত দম্পতির ঘরে দেওয়ালে লাল, গোলাপি বা বেগুনি রং করা ভালো বলে মনে করা হয়। এই রংগুলোকে ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। খেয়াল রাখবেন ঘরের প্লাস্টার যেন উপড়ে না যায়। দরজা খোলা বা বন্ধ করার সময় কোন শব্দ হওয়া উচিৎ নয়। এই ঘটনাটি তাদের সম্পর্ককে নেতিবাচকতায় পূর্ণ করে।
- নববিবাহিত দম্পতিদের অবশ্যই তাদের ঘরে তাদের হাসির ছবি বা পোস্টার লাগাতে হবে। এ কারণে তাদের সম্পর্কের মধ্যে সবসময় ভালোবাসার গন্ধ থাকবে।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে লেখা। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment