কাঠের গুদামে ভয়াবহ আগুন। সকালে আগুন লাগার খবর পেয়ে দমকলের ইঞ্জিন আসে। দমকলের ১৫টি ইঞ্জিনের সাহায্যে আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে। স্থানীয় লোকজন ফায়ার ব্রিগেডকে সাহায্য করছে। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনাটি কলকাতার বাঁশদ্রোণীর বটতলা বাজারের। গোডাউনে প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ রাখা ছিল। ফলে গোডাউনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান মন্ত্রী ও স্থানীয় বিধায়ক অরূপ বিশ্বাস।
কাঠের গুদামের আশেপাশে বেশ কয়েকটি বাসস্থান রয়েছে। গোডাউনের আগুন যাতে ঘরে না ছড়িয়ে পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। তবে স্থানীয় সূত্রের দাবী, আগুন ইতিমধ্যেই বাড়ির দিকে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। আগুনের তাপে আবাসনের কয়েকটি জানালাও ভেঙে গেছে।
ঘটনাস্থলে দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন উপস্থিত রয়েছে। এখন পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। পাশের ফ্ল্যাটেও আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা। দমকল বাহিনীর পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারাও আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন। বটলায় পাশাপাশি দুটি কাঠের দোকান রয়েছে। পিছনে তাদের গুদাম আছে। জানা গেছে, সকালে কাঠের দোকানে চার থেকে পাঁচজন শ্রমিক কাজ করছিলেন। একই সঙ্গে একটি দোকানে আগুন দেওয়া হয়। শ্রমিকরা প্রথমে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও তা বাড়তে থাকে। গোডাউনটি টিনের দেয়াল দিয়ে তৈরি। এ অবস্থায় কাঠ ও টিনের বাধা দিয়ে আগুনের উৎসে পানি পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়ছে।
তবে ফায়ার সার্ভিসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় এক বাসিন্দা। তিনি বলেন, “প্রথমে দুটি দমকলের ইঞ্জিন এসেছিল। কিন্তু আগে জল ছিল না। প্রথমে ফায়ার ব্রিগেড তার কাজে গাফিলতি এবং শিথিল ছিল। শুরু থেকেই সক্রিয়তা দেখালে আগুন এতটা ছড়াতে পারত না। স্থানীয় লোকজনও ফায়ার সার্ভিসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। দমকলের ইঞ্জিন দেরিতে আসার অভিযোগে স্থানীয় কাউন্সিলরের সামনে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় কয়েকজন। পরে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এসে বিষয়টি শান্ত করেন। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, “এটা কার অভিযোগ দেখার সময় নয়। আমি স্থানীয় ছেলেদের ধন্যবাদ দেব। যারা প্রাণের পরোয়া না করে আগুন নেভাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। আগে আগুন নিভিয়ে দিন। এরপর সবকিছু বিশ্লেষণ করা যাবে।"
No comments:
Post a Comment