শিশুর জন্মের সময় মাথায়, ঘাড়ে বা অন্য কোনও অংশে যদি অস্বাভাবিক ফুসকুড়ি বা পিণ্ড দেখা যায়, তাকে সিস্টিক হাইগ্রোমা বলে। সাধারণত শিশু গর্ভে থাকাকালীনই এই পিণ্ড তৈরি হয়। প্রাথমিকভাবে এই পিণ্ডের আকার খুবই ছোট থাকে, যার কারণে এটি সহজে দেখা যায় না। তবে বাচ্চা বড় হওয়ার সাথে সাথে এই পিণ্ডের আকারও বাড়তে থাকে। চলুন জেনে নিই সিস্টিক হাইগ্রোমা সংক্রান্ত আরও কিছু বিষয় সম্পর্কে।
সিস্টিক হাইগ্রোমার ঝুঁকিতে থাকে শিশুরা -
সিস্টিক হাইগ্রোমা শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। কখনও কখনও এই বাম্প বা পিণ্ড বিপজ্জনক প্রমাণিত হতে পারে। গর্ভাশয়ে সিস্টিক হাইগ্রোমার কারণে অনেক সময় গর্ভপাতও হতে পারে এবং এটি গর্ভবতী মহিলার জীবনের জন্যও বিপজ্জনক হতে পারে। যদি সিস্টিক হাইগ্রোমা ২০তম সপ্তাহের মধ্যে নিজেই চলে যায়, তবে জন্মের পরে শিশুদের মধ্যে এটি হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। ডাক্তাররা বিশ্বাস করেন যে, যদি গর্ভাবস্থা পরীক্ষার সময় সিস্টিক হাইগ্রোমা পাওয়া যায়, তবে শুধুমাত্র ভালো হাসপাতালেই ডেলিভারি করানো উচিৎ।
সিস্টিক হাইগ্রোমা কেন হয়?
সিস্টিক হাইগ্রোমা সাধারণত একটি জেনেটিক ব্যাধি। এ ছাড়া অনেক সময় ছোটখাটো ভুলের কারণেও এর ঝুঁকি বেড়ে যায়। গর্ভাবস্থায় মা যদি ভাইরাল ইনফেকশনে আক্রান্ত হন, তাহলে শিশুর সিস্টিক হাইগ্রোমা হতে পারে। এছাড়া গর্ভাবস্থায় যেসব মহিলারা মাদক ও অ্যালকোহল নিয়ে থাকন তাদের বাচ্চাদের এই সমস্যাগুলো বেশি হয়। সাধারণত যেসব শিশুর ক্রোমোজোম সম্পর্কিত অস্বাভাবিকতা থাকে তাদের এই ধরনের পিণ্ড হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
সিস্টিক হাইগ্রোমার লক্ষণ -
সিস্টিক হাইগ্রোমা যা শিশুর জন্মের পরে তৈরি হতে শুরু করে তা প্রথমে শনাক্ত করা যায় না। কিন্তু শিশুটি বড় হওয়ার সাথে সাথে এটি একটি স্ফীতির আকারে দৃশ্যমান হয়। সিস্টিক হাইগ্রোমা সাধারণত ২ বছর বয়সের মধ্যে একটি শিশুর মধ্যে দৃশ্যমান হয়। সিস্টিক হাইগ্রোমার প্রধান উপসর্গ হল একটি অঙ্গে মাংসের একটি ছোট বা বড় পিণ্ড, যা স্পর্শে নরম এবং স্পঞ্জি মনে হয়। সিস্টিক হাইগ্রোমা বেশিরভাগ ঘাড়ে দেখা যায়। যদিও এটি শরীরের যেকোনও অংশেই হতে পারে। এটি একটি বড় বেসবলের আকারেরও হতে পারে। কখনও কখনও, বড় হাইগ্রোমার কারণে, শিশুর ঘাড় ঘোরানো এবং অন্যান্য কাজে খুবই অসুবিধা হয়।
No comments:
Post a Comment