হাওড়া ও হুগলিতে রাম নবমী উপলক্ষে সহিংসতার জন্য মমতা সরকারকে নিশানা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির। এর সঙ্গেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করেছেন যে বিজেপি ইচ্ছাকৃতভাবে এই সহিংসতা ঘটিয়েছে। একই সঙ্গে তিনি বলেন বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, রাম নবমী মিছিল নিয়ে হাওড়া এবং হুগলিতে সহিংসতা প্রায় চার দিন ধরে চলেছিল। মানবাধিকার কমিশনের ফ্যাক্ট ফান্ডিং কমিটির ছয় সদস্যের একটি দল সহিংসতা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করতে গেলেও পুলিশ তাদের সহিংসতা কবলিত এলাকায় যেতে দেয়নি। এরপর এ সহিংসতাকে পূর্বপরিকল্পিত বলে উল্লেখ করেন কমিটির সদস্যরা।
ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা জানান, গত শনিবার তারা সেখানে গিয়ে রিষড়ায় আসলে কী ঘটেছে তা জানার চেষ্টা করেন। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ১৪৪ ধারা কার্যকর থাকায় কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা সেখানে যেতে পারবেন না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "বিজেপি হিংসার উসকানি দিয়েছে। অনুমতি ছাড়াই মিছিল বের করা হয়। পুলিশ অনুমতি দেয়নি। বিকেলে মিছিলটি বের করার কথা হয়। নামাজের সময় গিয়েছিলেন। তারা বন্দুক ও অস্ত্র নিয়ে নাচতে থাকে এবং বুলডোজার বহন করে। ধর্মসভায় অস্ত্র নিয়ে যাবেন কেন? বুলডোজার কেন নেবে? ট্রাক্টর কেন নেবে? খুব কৌশলে খেলেছে। প্রতিবারই মানবাধিকার কমিশন, মহিলা কমিশন, সংবাদ মাধ্যমের কমিশনের টিম পাঠানো হয়। এই ফ্যাক্ট কমিটি কি? কাঁচা লঙ্কা। তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমে ভুল প্রচারণা করা হচ্ছে।" কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। তিনি বলেন, "বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
সোমবার রামনবমী উপলক্ষে সহিংসতা চলাকালীন মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করার পর অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এল নরসিমা রেড্ডির নেতৃত্বে ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং কমিটির অন্তর্বর্তী রিপোর্টে বলা হয়েছে যে সহিংসতাগুলি পূর্ব পরিকল্পিত, সংগঠিত এবং প্ররোচিত ছিল। সোমবার সন্ধ্যায় ছয় সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গভর্নর সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করবে। এই উপলক্ষে, ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরাও সহিংসতার শিকারদের সাথে দেখা করবেন এবং কমিটির রিপোর্ট রাজ্যপালের কাছে জমা দেবেন। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির রিপোর্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল এবং বলা হয়েছিল যে সরকারের অদক্ষতার কারণে সহিংসতা ছড়িয়েছে। এই রিপোর্টে কমিশনে রাজ্য পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
No comments:
Post a Comment