কম খরচে দ্বিগুণ লাভ! জানুন নীল চাষের পদ্ধতি
রিয়া ঘোষ, ২৪ এপ্রিল : নীল চাষ কৃষকদের ধনী করতে পারে। বর্তমানে, উত্তরপ্রদেশ সরকার ক্রমাগত এর চাষকে উৎসাহিত করছে। যদিও অনেক রাজ্যে নীলের চাষ হয় বড় পরিসরে, কিন্তু উত্তরপ্রদেশে এর গুরুত্ব খুব একটা নেই। এমতাবস্থায় সরকার এর চাষের জন্য কৃষকদের সচেতন করছে। জেনে নিন এক বছরে নীল চাষের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত।
ছয় মাসে দুবার চাষ
ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে নীল চাষের বপন শুরু হয়। এপ্রিল মাসে এর প্রথম ফসল তোলা যায়। অন্যদিকে জুন মাসে দ্বিতীয় ফসল তোলা হয়। একইভাবে পাঁচ-ছয় মাসে দুবার নীল চাষ করা যায়। এরপর আয় বাড়াতে কৃষকরা অন্যান্য মাসে ধান ও গমের মতো ফসলও চাষ করতে পারেন। নীল চাষে খরচ কম, লাভ বেশি।
এই খরচ
কৃষক এক একর জমিতে নীল চাষ করলে খরচ হবে ৮-১০ হাজার টাকা। এমতাবস্থায় দুইবার ফসল আবাদ করে ৩০-৩৫ হাজার পর্যন্ত লাভ করা যায়। নীল খুব প্রাকৃতিক উপায়ে চাষ করা হয়। এতে কোনও ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় না। উৎপাদনের জন্য, শুধুমাত্র জৈব সার এর ক্ষেত্রগুলিতে প্রয়োগ করা হয়। যা জমিকে আগের চেয়ে বেশি উর্বর করতে কাজ করে। এ ছাড়া এই সার মাটিতে নাইট্রোজেনের মাত্রাও বাড়ায়। প্রতিটি ক্ষেত্রেই কেবল কৃষকরা এর সুবিধা নেয়।
আপনি যদি নীল থেকে বেশি মুনাফা অর্জন করতে চান তবে এটি বিদেশের বাজারেও বিক্রি করা যেতে পারে। আমরা যদি আন্তর্জাতিক বাজারের কথা বলি, তাহলে সেখানে নীলের দাম প্রতি কেজি ৩৮ ডলার। ভারতে, তামিলনাড়ু এবং ছত্তিশগড়ে সর্বাধিক নীল চাষ করা হয়। এ ব্যাপারে সেখানকার কৃষকরা অনেকটা এগিয়ে গেছেন। এসব রাজ্যে হাজার হাজার একর জমিতে নীল চাষ হয়। এতে কৃষকরা লাখ লাখ টাকা লাভবান হয়।
চাষ পদ্ধতি
উল্লেখ্য যে বেলে দোআঁশ মাটিতে নীল চাষ করা যায়। জমিতে জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকতে হবে। জলাবদ্ধতার ক্ষেত্রে ফসল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর চাষের জন্য কৃষকদেরও বৃষ্টির প্রয়োজন হবে। বলা হয়ে থাকে যে এর গাছপালা বৃষ্টির কারণে দ্রুত বৃদ্ধি পায়। নীল চাষের জন্য আবহাওয়াও স্বাভাবিক হতে হবে। প্রচন্ড গরম ও প্রচন্ড ঠান্ডায় এর চাষ করা কঠিন।
No comments:
Post a Comment