সুদানের জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি সোমবার বলেছেন, দেশের শীর্ষ দুই জেনারেলের অনুগত বাহিনীর মধ্যে লড়াইয়ে ১৮০ জনেরও বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছে। সুদানে টানা তৃতীয় দিনের মতো সেনাবাহিনী এবং একটি শক্তিশালী আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে।
দেশটির রাজধানী খার্তুম এবং এর পার্শ্ববর্তী শহর ওমদুরমানে বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ তীব্র হয়েছে। সামরিক সদর দফতরের কাছে একটানা গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে।
১৮০০ জনেরও বেশি আহত, ইইউ রাষ্ট্রদূতের উপর হামলা
জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি ভলকার পার্থেস বলেছেন, শনিবার থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৮০০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। সুদান ডক্টরস সিন্ডিকেট, একটি গণতন্ত্রপন্থী দল, যারা সংঘর্ষে হতাহতের সংখ্যা ট্র্যাক করে, দিনের শুরুতে বলেছিল যে ৯৭ জন নিহত হয়েছে। এদিকে সহিংসতা বন্ধে সুদানের ওপর কূটনৈতিক চাপ বাড়ছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জাতিসংঘের মহাসচিব, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতির প্রধান, আরব লীগের প্রধান এবং আফ্রিকান ইউনিয়ন কমিশনের প্রধান সহ শীর্ষ কূটনীতিকরা উভয় পক্ষকে লড়াই শেষ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
একইসঙ্গে ইইউর শীর্ষ কূটনীতিক জোসেফ বোরেলের বরাত দিয়ে এএফপি জানিয়েছে, কয়েক ঘণ্টা আগে সুদানে ইইউ রাষ্ট্রদূতের নিজের বাসভবনে হামলা হয়েছে। তবে রাষ্ট্রদূতের আঘাতের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
সুদানের নিয়ন্ত্রণের জন্য লড়াই
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন যে তিনি আরব লীগ, আফ্রিকান ইউনিয়ন এবং অঞ্চলের নেতাদের সাথে কথা বলছেন এবং তাদের সংঘাতের অবসানের আহ্বান জানিয়েছেন। সুদানের সেনাবাহিনী ২০২১ সালের অক্টোবরে একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে এবং তারপর থেকে একটি সার্বভৌম কাউন্সিলের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করছে। সুদানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দেশটির সেনাবাহিনী এবং একটি শক্তিশালী আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে লড়াই সোমবার টানা তৃতীয় দিনের জন্য অব্যাহত রয়েছে, গত তিন দিনে ১৮০ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।
No comments:
Post a Comment