গর্ভাবস্থায় কি ধরনের খাবার খাবেন
প্রেসকার্ড নিউজ, হেল্থ ডেস্ক, ২৮ এপ্রিল: গর্ভাবস্থায় আপনি যে খাবারই খান না কেন তা শুধু আপনার শরীরেই পুষ্টি যোগায় না, আপনার পেটে বেড়ে ওঠা শিশুরও বিকাশ ঘটায়। আপনার ম্যাক্রো এবং মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টের প্রয়োজনীয়তা প্রতি দিন বৃদ্ধি পায়।
গর্ভবতী হলে কি খাবেন -
আপনার ডায়েটে প্রতিটি গ্রুপের খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ। এটি আপনি কি খাচ্ছেন তার খেয়াল রাখা আপনার পক্ষে সহজ করে তুলবে। এটি প্রয়োজনীয় যে প্রতিটি খাবারে কমপক্ষে তিনটি গ্রুপ সুষম পরিমাণে অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ। জাঙ্ক ফুড খাওয়া এড়িয়ে চলুন কারণ এটি কোনও কারণ ছাড়াই আপনার ওজন বাড়িয়ে দেবে এবং পুষ্টির অভাব হবে।
গর্ভাবস্থায় কি ঘি খাওয়া উচিত -
সাধারণতঃ আমাদের দেশে গর্ভাবস্থায় এমন খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা প্রচুর ঘি দিয়ে তৈরি হয়। যদিও এই ধরনের খাদ্যের নিজস্ব সুবিধা রয়েছে, তবে এটি সীমিত পরিমাণেই খাওয়া উচিৎ। তা না হলে ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং সন্তান জন্মের পর ওজন কমানো খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। এই সময় সক্রিয় থাকুন এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
ভিটামিন খাওয়া প্রয়োজন -
আপনার ডায়েটে সমস্ত খাদ্য গ্রুপের পুষ্টি অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ। যেমন কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ এবং দুগ্ধজাত পণ্য।
এর সাথে ডঃ প্রিয়াঙ্কা রোহাতগি আপনার ক্ষুধা সঠিকভাবে পরিচালনা করার টিপস দিয়েছেন। যেমন -
গর্ভাবস্থায় মহিলারা খুব ক্ষুধার্ত বোধ করেন এবং বেশিরভাগ মহিলা ক্ষুধার্ত হলে জাঙ্ক ফুড এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার খেতে চান। এই জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে শর্করা ও চর্বি থাকে কিন্তু পুষ্টির অভাব থাকে। এমন পরিস্থিতিতে আপনার ডায়েটের দিকে মনোযোগ দেওয়া জরুরি।
গর্ভাবস্থায় ক্ষুধা হ্রাস -
একইভাবে, আপনার স্বাস্থ্য এবং শিশুর বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় কোনও খাবার যদি আপনার পছন্দ না হয়, তাহলে আপনার ডায়েটিশিয়ানের সাথে কথা বলুন এবং এর বিকল্প ব্যবস্থা নিন যাতে আপনার সমস্ত পুষ্টির চাহিদা মেটানো যায়।
গর্ভাবস্থায় স্বাস্থ্যকর খাওয়া -
দিনে দুই থেকে তিনবার পরিপূর্ণ খাওয়ার পরিবর্তে ঘন ঘন অল্প পরিমাণে খান। ফলে হজমে সমস্যা হবে না। এ ছাড়া নিয়মিত কিছু ব্যায়াম করুন, যার ফলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকবে এবং আপনি গর্ভাবস্থায় ফিট ও চটপটে থাকবেন।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment