রাজ্যের জঙ্গলমহল এলাকায় কুড়মি আন্দোলনের জেরে স্থবির হয়ে পড়েছে রেল ও পরিবহন পরিষেবা। গত পাঁচ দিনে, দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে ৪৯৬ টি ট্রেন বাতিল করেছে। রাজ্য জুড়ে চলমান রেল অবরোধ নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ । কুড়মি আন্দোলন রবিবার পঞ্চম দিনে প্রবেশ করলেও এখন পর্যন্ত কোনও সুরাহা হয়নি। দাবী মানা না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে কুড়মি সমাজ।
কুড়মি সম্প্রদায়ের রেল অবরোধ তুলে নিতে শনিবার প্রশাসনিক বৈঠক হলেও কোনও সুরাহা হয়নি। রবিবার আবারও বহু জায়গায় রেল অবরোধ শুরু হয়েছে। রবিবার সকাল থেকেই জাতীয় সড়ক ও রেললাইনের ধারে অনেক জায়গায় বিক্ষোভ চলছে। এ কারণে যান চলাচলে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।
অন্যদিকে কুড়মি আন্দোলনের জটিলতা দূর করতে ইতিমধ্যেই রেলের তরফে রাজ্যকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এতে স্পষ্ট লেখা আছে, আন্দোলনকারীরা তাদের অবরোধ প্রত্যাহার না করলে রেলওয়ের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রেলের তরফে অনুরোধ করা হয়েছে যে, রাজ্য সরকারকে জিআরপি এবং রাজ্য পুলিশের মাধ্যমে অবরোধ সরানোর ব্যবস্থা করা উচিৎ। প্রয়োজনে আরপিএফও সাহায্য করবে বলে জানানো হয়েছে। রাজ্যের তরফে রেলওয়েকে একটি উত্তর চিঠিও পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর, শনিবার বিকেলে রাজ্য থেকে প্রাপ্ত প্রতিক্রিয়া পত্রে রাজ্য সরকারের তরফে করণীয় সমস্ত পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এখন রেলওয়ে তার দিক থেকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে।
এদিকে রেলের চিঠির পর শনিবার রাতে বৈঠকে বসেন প্রশাসনের নেতারা। পুরুলিয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের দফতরে কুড়মি আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার কুড়মি নেতারা। কিন্তু ওই বৈঠকেও কোনও সমাধান হয়নি। কুড়মি আন্দোলনের কারণে, ৯ থেকে ১১ এপ্রিল খড়গপুর আদ্রা এবং খড়গপুর টাটা লাইনে ১১৭টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। ৫ এপ্রিল থেকে এই আন্দোলন চলছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন।
No comments:
Post a Comment