ক্ষমা চাইলেন মমতা! এগরা কাণ্ডে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও চাকরি

 ক্ষমা চাইলেন মমতা! এগরা কাণ্ডে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও চাকরি

নিজস্ব প্রতিবেদন, ২৭ মে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এগরা খাদিকুলে অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন।  শনিবার বেলা ১১টার দিকে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিহতদের পরিবারের সদস্যদের হোম গার্ডের চাকরি দিয়েছেন এবং ৫০ লাখ টাকার চেক দিয়ে আর্থিক সাহায্য করেছেন।  বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ১১ দিন পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রামে পৌঁছে মাথা নিচু করে ক্ষমা চান।

 মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই ঘটনা আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে।  মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে বেআইনি বাজি কারখানার বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।  দুই মাসের মধ্যে রিপোর্ট দেবে।  অবৈধ বাজি কারখানায় কাজ করে কারো জীবন নষ্ট করা উচিৎ নয়।"

 

 তিনি বলেন, "অনেকেই লোভী হয়ে টাকার লোভে এ ধরনের কাজ করে থাকেন।"  তিনি আরও বলেন, "নিহতদের পরিবারকে আড়াই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে এবং প্রতি পরিবারে একজন হোম গার্ডের চাকরি দেওয়া হচ্ছে।  মৃতদের স্বজনদের হাতে চেক তুলে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।"

 মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এখানে বেআইনি বাজি তৈরির কারখানায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।  যারা কাজ করেছেন এবং মারা গেছেন তাদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা।  এই ঘটনা আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে।  আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আগামী ২ মাসের মধ্যে রিপোর্ট আমার কাছে আসবে।"

 মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, "তিনি এই ঘটনার জন্য মাথা নিচু করে ক্ষমা চান।  তিনি যদি অন্য কিছু করতে পারে, তিনি পারবেন।  অবৈধ বাজি কারখানার খবর পেলে ওসিকে জানান।  ওসি কাজ না করলে তাকে বদলি করা হবে।"

 গত ১৬ মে খাদিকুলে অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে কারখানার মালিক ভানু বাগসহ মোট ১১ জন নিহত হন।  সিআইডি তদন্তে জানা গেছে যে বিস্ফোরণের পরে আহত ভানু পার্শ্ববর্তী রাজ্য ওড়িশায় পালিয়ে গিয়েছিল এবং একটি জাল আধার কার্ড নিয়ে সেখানে একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

অন্যদিকে এগরায় অবৈধ বাজি কারখানা নিয়ে রাজনীতি চলছে।  অতীতে বিরোধী দলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী নিহত ও আহতদের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।  সেখান থেকে এনআইএ-র তদন্ত-সহ বহু দাবী রাখেন তিনি।

 তিনি বলেন, "রাজ্য সরকার নিহতদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবী করেছে।" ভানু একজন তৃণমূল নেতা বলেও তিনি দাবী করেছেন, কিন্তু তৃণমূল সেই দাবী প্রত্যাখ্যান করেছে।

 শাসক দলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবী, ভানু ওই অফিসারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন।  এই চাপের মধ্যেই তৃণমূলের প্রতিনিধি দল আগ্রায় গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে।  এই প্রেক্ষাপটে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এগরা সফর গুরুত্বপূর্ণ।