প্রাথমিকে চাকরি বাতিলের সংখ্যায় পরিবর্তন, নির্দেশ সংশোধন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday 16 May 2023

প্রাথমিকে চাকরি বাতিলের সংখ্যায় পরিবর্তন, নির্দেশ সংশোধন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের


প্রাথমিকে চাকরি বাতিলের সংখ্যায় পরিবর্তন, নির্দেশ সংশোধন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের 



নিজস্ব প্রতিবেদন, ১৬ মে, কলকাতা: ছত্রিশ হাজার নয়, প্রাথমিকে চাকরি বাতিলের সংখ্যা প্রায় ৩২ হাজার। নির্দেশ সংশোধন করে এমনই জানালেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ১২ এম এ বিচারপতি ৩৬ হাজার অপ্রশিক্ষিত প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন। গত সোমবার সেই রায়ের সংশোধনীর চেয়ে বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মামলাকারীদের আইনজীবী। মঙ্গলবার আগের রায়ে সংশোধন করেন বিচারপতি।


বিচারপতির মন্তব্য, "২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া এত বেআইনিভাবে হয়েছে, যেটা বাতিল করা ছাড়া আর উপায় ছিল না। এত ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে, কে বৈধ আর কে অবৈধভাবে পেয়েছে সেটা বের করা সম্ভব নয়।" এছাড়াও এদিন এজলাসে উপস্থিত চাকরিহারা শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বিচারপতির মন্তব্য, "যারা গ্রেফতার হয়েছে এবং হবে তাদের হাতে এত কোটি কোটি টাকা কোথা থেকে এসেছে? শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করা হচ্ছে, হয়তো হবে। আমি কি করতে পারি? যারা টাকা নিয়েছে, অপরাধী তাদের বিরুদ্ধে কথা বলুন। আমি কোনও মন্তব্য করলে তা রাজনৈতিক মন্তব্য বলে মনে হতে পারে। তাই আমি কোন মন্তব্য করছি না।"


উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের নিয়োগ নিয়ম মেনে হয়নি, এই অভিযোগে ১৪০ জন পরীক্ষার্থী মামলা করেছিলেন। আরও অভিযোগ উঠেছিল, ঐ নিয়োগের সময় কোন অ্যাটিটিউড টেস্ট নেওয়া এবং সংরক্ষণের নীতি মানা হয়নি। সেই নিয়ে দীর্ঘ শুনানি হয়। আর শুক্রবার ১২ মে একসঙ্গে ৩৬ হাজার অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন তিনি। যদিও এই মুহূর্তে স্কুলে যাওয়া বন্ধ হচ্ছে না ২০১৬-তে প্রাথমিকে নিয়োগ পাওয়া অপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকদের। হাতে চার মাস সময় পাবেন তারা এবং বেতন পাবেন পার্শ্বশিক্ষকদের হারে। চাকরি বাতিলের নির্দেশের পাশাপাশি এদিন আগামী তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা নির্দেশও দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।


এরপর, চাকরি বাতিলের সেই রায়ের সংশোধন চেয়ে সোমবার ১৫ ই মে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মামলাকারীদের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। সোমবার আদালতে তিনি জানান, অপ্রশিক্ষিত প্রার্থীর সংখ্যা ৩৬ হাজার নয়, ৩০,১৮৫। এই বিভ্রান্তি হয়েছে টাইপোগ্রাফিক্যাল ত্রুটির জন্য।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad