শিশুদের পেটে কৃমি হওয়ার লক্ষণ ও এর ঘরোয়া প্রতিকার জেনে নিন
প্রেসকার্ড নিউজ, হেল্থ ডেস্ক, ১৭ মে: অনেক সময় শিশুদের পেটে কৃমি হওয়ার সমস্যা থাকে। এই সংক্রমণকে বলা হয় সয়েল ট্রান্সমিটেড হেলমিন্থ। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই সমস্যা মাটির মাধ্যমে শিশুদের শরীরে পৌঁছায়। এর জন্য শিশুরা পেটে ব্যথার কারণে বিরক্তি বোধ করে ও তাদের শারীরিক দুর্বলতা দেখা দেয়। কিন্তু অনেক সময় অভিভাবকরা বুঝতে পারেন না কেন এমন হচ্ছে। তাই আসুন আপনাদের বলি শিশুদের পেটে কৃমির লক্ষণগুলো কী এবং এর ঘরোয়া প্রতিকার কী হতে পারে।
শিশুদের পেটে কৃমির লক্ষণ -
শিশুদের পেটে কৃমি হলে হঠাৎ পেটে তীব্র ব্যথা হতে পারে। এ ছাড়া হয় তাদের ক্ষিদে লাগবে না বা হঠাৎ ক্ষিদে লাগার সমস্যা বাড়তে পারে।
পেটে কৃমি থাকলে বদহজমের সমস্যা হতে পারে। পেটে ব্যথা এবং মোচড় দেওয়ার পরে ডায়রিয়া দেখা যায়।
পেটে কৃমি থাকলে তারা কার্বন ডাই অক্সাইড এবং অন্যান্য গ্যাস তৈরি করে। এ কারণে শিশুর মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে।
পেটে কৃমি হলে মলদ্বারে চুলকানি ও সংক্রমণের সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া শিশুর মলেও সাদা কৃমি দেখা যায়।
ঘরোয়া প্রতিকার -
নিমপাতা অ্যান্টিবায়োটিক, যা সব ধরনের পোকামাকড় এবং ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে। এক্ষেত্রে নিমপাতা পিষে তাতে মধু মিশিয়ে শিশুকে খাওয়ান।
জোয়ান-এ অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানও পাওয়া যায়, যা কৃমি মেরে ফেলে। এক্ষেত্রে এক চিমটি কালো লবণ এবং আধা গ্রাম জোয়ান গুঁড়ো মিশিয়ে এটি প্রতিদিন রাতে ঈষদুষ্ণ জলে দিয়ে সেই জল শিশুকে পান করান, কৃমি বেরিয়ে যাবে।
আপনি আপনার শিশুকে করলার রসও দিতে পারেন। এটি কৃমি মারতেও সাহায্য করতে পারে।
পেটে কৃমি হলে তুলসী পাতা দিয়ে নিরাময় করতে পারেন। তুলসী পাতা বা তুলসীর আরক খেলে পেটের কৃমি মারা যায়। আপনার শিশুকে তুলসী পাতার আরক বানিয়ে দিন,সে আরাম পাবে।
পেঁপের বীজও এই সমস্যায় খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। পেঁপের বীজ শুকিয়ে গুঁড়ো বানিয়ে ঈষদুষ্ণ জলে দিন এবং প্রতিদিন শিশুকে এই জল পান করান, এতে কৃমি দূর হবে।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment