মর্মান্তিক দুর্ঘটনা! হাই টেনশন তারের কবলে পড়ে মৃত ৪
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা, ১৪ মে : রাজ্যে পৃথক দুটি ঘটনায়, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে এবং একজন গুরুতর আহত হয়েছে। প্রথম ঘটনায়, বীরভূম জেলার সদাইপুরের তুলকালাম বাধল-এ ১১,০০০ ভোল্টের লাইভ তারের সংস্পর্শে এসে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। দ্বিতীয় ঘটনায় কলকাতার ইকবালপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে এবং জামাই গুরুতর আহত হয়েছে।
বীরভূমের রাঙ্গুনীগ্রামে ধানক্ষেতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। মৃতদেহ নিয়ে বিক্ষোভ করেন বাসিন্দারা। বিদ্যুত দফতরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসীরা।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, কৃষি জমিতে ১১ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক তার ঝুলছে। এরই ফলশ্রুতিতে ওই দুই শ্রমিকেরই আজ দুঃখজনক পরিণতি হল।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, রবিবার সকালে দুই শ্রমিক ধান কাটার যন্ত্র নিয়ে ধান কাটতে যাচ্ছিলেন। সেখানে ১১ হাজার ভোল্টের পাওয়ার লাইন ছিল। নিহতদের নাম বিষ্ণু তানওয়ার (২২) ও বিকাশ তানওয়ার (২৪)।
মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ভিড় জমান স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে সদাইপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিক্ষুব্ধ জনতা তাদেরকে এলাকা থেকে ধাওয়া করে। বাসিন্দাদের দাবী, বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকরা না আসা পর্যন্ত মৃতদেহ দুটিকে ছেড়ে দেওয়া হবে না।
রাঙ্গুনী গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, “দুই শ্রমিকের ধান কাটার যন্ত্রটি বৈদ্যুতিক তারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে যায়। গাড়ির চালক বিষয়টি বুঝতে পারেননি।যন্ত্রটি স্পর্শ করতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই দুইজনের মৃত্যু হয়।"
তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেছেন, 'বিষয়টি দুর্ঘটনার এবং যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমাদের প্রশাসন খুবই সক্রিয়। পুলিশ খুবই তৎপর। প্রশাসন সক্রিয়ভাবে উদ্যোগ নিচ্ছে।'
অন্যদিকে, কলকাতার ইকবালপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছেন তিন। নিহতরা হলেন ইকবালপুরের বাসিন্দা ইজহার আক্তার (৫১) ও মুনতাহা বেগম (৬৪)।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, একবালপুর লেনের দেয়ালে ঝুলন্ত তারে ভেজা কাপড় শুকানোর সময় হঠাৎ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় তারা। মুনতাহা বেগম তাকে বাঁচাতে গেলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। মুহতা বেগমের মেয়ে খায়রুল নেছাও তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। জামাইকে ভর্তি করা হয়েছে ইকবালপুর নার্সিংহোমে।
No comments:
Post a Comment