দরিদ্রতা দূর হবে! রুটিই বদলে দিবে ভাগ্য
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২৪ জুন : হিন্দু ধর্মে প্রতিটি কাজ করার সঠিক উপায় ও কিছু নিয়ম দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে খাবারও রয়েছে। যেহেতু খাদ্য আমাদের জীবনযাপনের শক্তি দেয়, তাই রান্না করা, খাওয়া, খাবারের জন্য বসা সহ এর সাথে সম্পর্কিত সবকিছুর যত্ন নেওয়া উচিৎ। রুটি রান্না করা এবং খাওয়া থেকে শুরু করে রুটি পর্যন্ত কিছু প্রতিকার ও কৌশল হিন্দু শাস্ত্রেও উল্লেখ করা হয়েছে। রুটি সম্পর্কিত এই প্রতিকারগুলি খুব কার্যকর। রুটির এই প্রতিকারগুলি আপনাকে ধনী করে তোলে এবং আপনাকে কখনই কোনও আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হতে দেয় না। আজকের প্রতিবেদনে জানুন রুটি সম্পর্কিত এমন একটি অমূলক প্রতিকার, যে ব্যক্তি প্রতিদিন এটি করে সে কখনই দরিদ্র হয় না, বরং তার সম্পদ সবসময় বৃদ্ধি পায়।
প্রতিদিন গরু ও কুকুরকে রুটি দিন
হিন্দু ধর্মে গরুকে মা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গরুর পূজা, গরুর সেবা করলে সকল পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং মৃত্যুর পর স্বর্গে স্থান পায়। তাই ঋষি-মুনি ও রাজা-সম্রাটরা গরু পালন করতেন, গরুর সেবা করতেন। গৌদান একটি মহান দান হিসাবে বিবেচিত হয়েছে। বর্তমান সময়ে সবার পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব নয়, তবে ধর্মীয় শাস্ত্রে উল্লেখিত রুটির একটি প্রতিকার অনেক উপকার দেয়। এই প্রতিকার করলে মানুষের জীবনের সমস্ত ঝামেলা দূর হয়, সে অপার সুখ ও সমৃদ্ধি পায়।
গরুকে প্রথম রুটি দিন- হিন্দু ধর্মে প্রতিদিন প্রথম রুটি গরুকে খাওয়াতে বলা হয়েছে। প্রতিদিন গরুকে প্রথম রুটি খাওয়ালে সমস্ত দেব-দেবী প্রসন্ন হন এবং আশীর্বাদ পান। যে বাড়িতে প্রতিদিন প্রথম রুটি গরুকে খাওয়ানো হয়, সেখানে সর্বদা প্রচুর ধন-সম্পদ থাকে। মা লক্ষ্মীর কৃপায় টাকা ও শস্যের ভান্ডার পূর্ণ থাকে। কষ্টগুলো কেটে যায়।
কুকুরকে শেষ রুটি দিন- জ্যোতিষশাস্ত্রে শনি ও রাহুর সঙ্গে কুকুরের সম্পর্ক রয়েছে। প্রতিদিন কুকুরকে শেষ রুটি দিলে রাশিফলের অনেক দোষ দূর হয়। যদি রাশিতে শনি দোষ বা রাহু-কেতু দোষ থাকে, তাহলে শেষ রাতে তৈরি করা রুটি কুকুরকে খাওয়ান। এতে আপনার অনেক সমস্যার সমাধান হবে। অর্থনৈতিক সংকট কেটে যাবে। এ ছাড়া কাক বা পাখিকে খাবার দিলেও জীবনের অনেক ঝামেলা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
No comments:
Post a Comment